রক্তভরা প্রাণ যে ছিলো
শব্দভরা গান যে ছিলো;
লজ্জাতুরা মান যে ছিলো
তোমার প্রতি টান যে ছিলো,
এখন কিছুই নাই।
শূন্য দেখি যেদিক তাকাই
যা কাছে পাই, তা-ই লুফে যাই;
সমাজবিহীন জীবন বৃথাই
ভালো-মন্দ কিছু না পাই
ভিন্ন জীবনধারা।
চলার পথে ছিলো যারা
স্বার্থ-টানে হারায় তারা;
দুঃখ-তাপে জীবন সারা
দিনের শেষে আসবে কারা?
ভাবছি বসে তাই।
এখন কিছুই নাই।
মন্দ বলে চেনা লোকে
তাকায় সবে সন্দ-চোখে;
সব হারানোর বেদন বুকে
নিত্য পুড়ি অতীত-শোকে
একলা থাকি ঘরে।
পড়লে মানুষ মরুর ঝড়ে
বাঁচার জন্য চেষ্টা করে;
সাগর জলে তৃণ ধরে
কে চায় বলো যেতে মরে
মাটির ভুবনতলে?
স্বস্তি-শান্তি চায় সকলে
একটু আদর সোহাগ পেলে;
দুঃখী চোখে মুক্তো জ্বলে
সুখী হয় সে মহীতলে;
পাইনি ক্ষণিক তরে।
একলা থাকি ঘরে।
অর্থকড়ি ছিলো যতো
সদয় হয়ে দিলেম তত;
এখন কাঁদি অবিরত
সম্বল নেই বাঁচার মতো
ভাবছি আপন মনে।
ঘুরছি ক্ষুধার রণাঙ্গনে
ভাবছি বসে সংগোপনে;
বলছি না তা' কারোর সনে
নিজেই নিজের জ্বালাতনে
হচ্ছি পুড়ে ছাই।
রাত-আকাশে চন্দ্রিমা নাই
দিনেই ডোবে সূরুজখানাই;
আপন মনে দুঃখ বানাই
কষ্ট-মাঝে সুখ খুঁজে পাই
নিরন্তর গোপনে।
ভাবছি আপন মনে।
০৮/১২/২০২৪
ঢাকা।