মেটিকুলাস ডিজাইনের ফাঁদ
খুব দীর্ঘদিন টিকে থাকে না ভুবনে;
সময়ের সূক্ষ্ম টানে একদিন বিভ্রান্ত মানুষেরা
সঠিক মর্মার্থ তার টের পায় মনে, জনে জনে।
একজন মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে
মিথ্যা দিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রাখা সম্ভব হয়তো।
শোষণে শাসন করা যায়, তাঁর অনিচ্ছায়।
বহুজন মানুষকে ধোকা দিয়ে পৃথিবীর বুকে
বহুদিন বোকা রাখা সম্ভব নয়তো।
মেটিকুলাস ডিজাইনার বুঝতে পারে কি তা?
ধর্মের কথায় স্বর্গলাভ প্রলোভনে
আত্মাহুতি দানে উদ্বুদ্ধ করেছো কতো
মিথ্যার বেসাতি করে। হায়!
কতজন চলে গেলো মোহের মায়ায়,
জনমের সাধনায় লব্ধ
এই মৃত্তিকার সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে।
সবুজ সোনার বাংলাদেশে
অন্ধ মানুষেরা বুঝে গেছে অবশেষে;
দ্বন্দ্বের মাধ্যমে এসে চতুর ধর্মান্ধ,
মন্দ ক্ষমতালোভীরা মিথ্যার আকরে সিক্ত করে
পিশাচের ছলে কতো নিরীহ যুবক-যুবতীকে
ভুলপথে নিয়ে গেছে ছলনার মধুর কথায়;
বুঝে গেছে জীবিতেরা জীবনের শেষের বেলায়।
মেটিকুলাস ডিজাইনের অভীষ্ট লক্ষ্য কি?
এ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ব্যর্থতায় নিপতিত করা।
ব্যর্থ সমাজে মানুষ জেগে ওঠে না জ্ঞানে-বিজ্ঞানে,
জীবনানন্দের কর্মে, সাহিত্যে, দর্শনে।
তারা জেগে ওঠে উশৃংখল অনিয়মে, মনগড়া প্রার্থনায়
আর অভিশপ্ত রাজনৈতিক স্লোগানে।
চিন্তাশীল কিছু মানুষের বিপরীতে
হিংস্র দূর্বিনীত বহু বোকা লোক থাকে।
সমাজের সচেতন প্রতিটি শব্দের বিপরীতে
হাজারো পচনশীল শব্দরাশি খেলা করে যায়।
সাধারণ জনগণ লক্ষ সমস্যার উপরে ভেসে বেড়ায় ।
মানুষের ভালোবাসা, বাঁচার তাগিদ
নির্বোধেরা অবহেলা করে সবকিছু;
যতোসব তুচ্ছ আলোচনায় ব্যাপৃত রয় তারা।
ব্যর্থরাষ্ট্রের সমাজে অর্থ-রাজনীতি
দুশ্চরিত্র দুষ্ট-নষ্ট নেতাদের কব্জিলব্ধ থাকে;
তারা দেবতুল্য মর্যাদায় সুউচ্চ আসনে রয়।
এইসব দেবতারা কূটিল কৌশলে
তোষামোদি মোসাহেব, সেবাদাসদের নেশাগ্রস্ত করে, হায়!
জাদুকরের মতোন বাস্তবতা পরিহার করে
কথা বলে চাতুর্যের, খেইল দেখায়;
অবিরাম অহেতুক কৌতুকে হাসায়।
সমস্যার সমাধান কখনো করে না,
করতে পারে না;
শুধু যুধিষ্ঠির সাজে নিজের কথায়;
আর অন্যের উপরে দোষ দিয়ে নিজে মুক্তি খোঁজে।
ব্যর্থ সমাজের নির্দিষ্ট দর্শন নেই,
যতোসব আজগুবি মতামত ছুটোছুটি করে,
এলেবেলে মোহনীয় নারীর মতোন
উদ্দেশ্যহীন, নিকষ অন্ধকার গবাক্ষের দিকে।
৩০/১১/২০২৪
ঢাকা।