বারবার ফিরে যাই তোমার দুয়ারে,
মিথ্যা আশ্বাসের ভিড়ে; বারংবার ঠিক ঠকে যাই।
ছলনার কতো রূপ! দেখেছি জগতে
তোমার কাজল নয়নের নীল তীরে।
বিশ্বাসের নায়ে চড়ে আবলুস প্রদোষ সময়ে
শানবাঁধানো উজ্জ্বল ঘাটে
যতবার আমি গিয়েছি অধীর হয়ে,
কম্পমান মৃন্ময়ী বসন্তে;
ততবার গলুইয়েতে উঠে গেছো পরম আহ্লাদে।
তারপর, দোল খেতে খেতে,
বনময়ূরীর মতো রঙিন পালকে  
নিজেকে সাজিয়ে তুমি
আনন্দে ধরেছো গান আদ্রওষ্ঠে- সুখ সুরময়।
জীবনের অফুরান তামাশায় কাটিয়েছো বেলা;
শেষ হলে খেলা অবহেলা করে নেমে গেছো ধীরে।  
কালের নিয়মে আমিও এসেছি ফিরে
জরাজীর্ণ দুঃখাক্রান্ত স্যাঁতসেতে আঁধার কুঠিরে।
আজ সাঁঝের বেলায় একা বসে বসে ভেবে যাই;
অবশেষে, কি পেলাম ভুবনমন্দিরে?
বেদনার ভারে নতজানু হয়ে কাঁদি-  
ফাঁকি, সংসারের সবকিছু শুধু ফাঁকি।
মানুষের চলমান জীবনের পথে
আমরা কি পরস্পর বাদী ও বিবাদী?

৩০/১১/২০২৪
ঢাকা।