হে আমার অসাম্প্রদায়িক সবুজ সোনার প্রিয় বাংলাদেশ!
হিন্দুদের বাংলাদেশ, বৌদ্ধদের বাংলাদেশ,
খ্রিস্টানের বাংলাদেশ, মুসলমানের বাংলাদেশ।
তুমি হিংস্রায়িত আজ, প্রত্যহ কুঁকড়ে যাচ্ছো;
ধর্মের আলখেল্লায় নিজেকে সাজাতে চাও কেনো?
আঁধারের কারামুক্ত মহাশক্তি হৃদয়ে জাগাও,
অবারিত মানবিক আলোর উৎসবে।
প্রলয়ের রক্তসিক্ত হতে চাও তুমি,
মানবিক হৃদয়ের বহ্নিশিখা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে?
প্রভাতের সূর্যকে কি ঢেকে দিতে চাও কালো হিংসার-চাদরে?
অপমানিতের সাথে মরিতে চাহি না আমি ধরণীর বুকে
আসুরিক হিংস্রতার নৃশংস ছোবলে।
আজ তুমি রুখে দাও অগণিত অসহায় মানুষের অশান্ত রোদন।
নিপীড়িত জনগণ করিছে ক্রন্দন নিশীথের অন্ধকারে,
নিরবে, নির্জনে, সভয়ে, নিঃসঙ্গ, একা।
আমাদের স্বর্গচ্যুত অমৃত হিয়ার অন্তরালে
বেজে উঠে বিচ্ছেদের অশণিসংকেত!
স্বাপদের ভিড়ে চলে অকাল মৃত্যুর কানাঘুষা।
জীবন্ত সমাধি হতে বড় ভয় জাগে,
উদ্বেলিয়া উঠে আজ নিরবতন্ত্রীতে মৃত্যুভয়।
যুগে যুগে পশু এসে লণ্ডভণ্ড করে গেছে সাজানো পৃথিবী;
রক্তক্ষুধা চরিতার্থে কতো নিরপরাধীকে ঠেলে দেয়
অবাঞ্চিত যন্ত্রণার মৃত্যুর বিবরে;
স্বর্গলাভ প্রলোভনে উত্তেজিত করে রাখা হয় ধর্মের কথায়।
মুক্তি চাই, স্বস্তি চাই, আগামীর পথে হাঁটতে চাই
মানুষের প্রয়োজনে, মানুষের সাথে।
হে আমার অসাম্প্রদায়িক সবুজ সোনার প্রিয় বাংলাদেশ,
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমানের বাংলাদেশ!
তুমি জেগে উঠো আজ চিরায়ত স্বকীয় প্রভায়।
অমিয় গণতন্ত্রের কথা যারা বলে
তাদের ভাষণে আজ সরিসৃপ শব্দাবলি এঁকেবেঁকে চলে;
মানবিক গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে প্রবল প্রতাপে;
তাদেরকে রুখে দিতে হবে মানুষের প্রয়োজনে।
সবলে দাঁড়াও আজ মানবিক সত্যের নিশানে,
ঝঞ্ঝাময় বৈপরীত্যে টিকে থাকা মানুষের সাথে;
বিদগ্ধ একাত্তরের সুগভীর প্রচণ্ডতা নিয়ে।
২৯/১১/২০২৪
ঢাকা।