কালো নিশিরাত কেটে যেতে কতো বাকি?
চারিদিকে নাচে উলঙ্গতায়; রক্তখেকোর দল
উল্লাস করে; ভয়ে কাঁপে দুর্বল।
আকাশে মেঘের তোলপাড় শোনা যায়!
এমন কঠিন কালে তুমি আজ মরাঘুমে আছো না কি?
আলোর দিশারী ঘুম তাড়ানিয়া সাকি!
এই নিশিরাত কেটে যেতে কতো বাকি?
পুরনো শকুন নবতর রূপে আজ
হামলে পড়েছে শানিত নখর নিয়ে;
ইনিয়ে বিনিয়ে বলে যায় কতো বাণী,
ধ্বংসনেশায় শত্রুরা মিলে করে যায় কানাকানি;
তাদের আশার বাণীতে শুনছি মরু-মরীচিকা ফাঁকি।
নিশিরাত কেটে যেতে কতো আর বাকি?
কখন উঠবে পূর্বগগনে সূর্য?
জাগর গানের উৎসবে যেতে সাজিয়ে রেখেছি তূর্য।
বাজাও বিষাণ রুদ্রমঙ্গল সুরে,
স্বদেশপ্রেমীরা আবার দাঁড়াবে ঘুরে;
শোনিত ধারায় সিক্ত করতে সকলে বেঁধেছে রাখি।
আলোক ফোটার প্রভাত আনতে, বলো, কতো আর বাকি?
রাতের আঁধারে পশুরা মেতেছে মৃত্যু-খেলায় আজ;
মায়ের কোমল বক্ষখানিরে ধরে,
তারা সবে মিলে লোভীর নখরে ছিন্নভিন্ন করে;
সভয়ে দেখছে দুর্ভাগ্যের ভীরুসন্তান অসুরের কারুকাজ।
কে আছে সাহসী সম্মুখে নিবে ডুবুডুবু এই তরী
ভীষণ কঠিন কঠোর সাধনা নিয়ে?
যাবে বহুদূর সুবর্ণগ্রাম, উত্তাল নদী সাবলীল পাড়ি দিয়ে।
এ নায়ের মাঝি! মরাঘুম ভেঙে জেগে উঠো তুমি আজি
ঘুম তাড়ানিয়া আলোর দিশারী সাকি!
বজ্রসুরের জোরালো কন্ঠে বলো-
কালো নিশিরাত কেটে যেতে আর খুব বেশি নেই বাকি।
১৫/০৯/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।