তুমি কি সত্যের পথ হারিয়েছো দ্রুত, হে যুবক!
বড্ডো উদ্ভ্রান্তের মতো এলোমেলো চলো
নিশানাবিহীন পথে। লক্ষ্য নেই, আশা নেই; যেন
উদ্দেশ্যহীন জটিল পথের মিছিলে যাচ্ছো হেঁটে।
কোথায় চলেছো ছুটে, দ্রুতগতি-রথে
অন্ধকারাচ্ছন্ন অজানার উদ্দেশ্যে দিবস-রাত্রি?
কখনোসখনো তুমি বুদ্ধিদীপ্ত কথার ভঙ্গিতে
আলোড়ন সৃষ্টি করো বিদগ্ধজনের চেতনায়;
মোহ-স্বার্থহীন স্বচ্ছ প্রবাহিত জলের নিপুণ ভঙ্গিমায়।
তখন উৎফুল্ল হয় সঙ্গীসাথী, আপামর জনসাধারণ।
আবার কখনো তুমি উচ্চারণ করো
জাগতিক মোহাবর্ত স্বার্থান্বেষীর দাম্ভিক কথাকলিমালা;
তখন ফিরিয়ে নেয় মুখ, যারা ভালোবেসেছিলো,
আশীর্বাদের দুহাত করেছিল প্রসারিত অকৃত্রিমভাবে।
হে যুবক! ফিরে এসো তুমি সময়ের হাত ধরে
অজানার অন্ধকার নিশানার কক্ষপথ থেকে;
ফিরে এসো, কুহেলিকা ভেদ করে আলোর উদ্দেশ্যে;
মা-মাটি-মানুষের শষ্পিত পাদদেশে।
এখানে অমৃতসুধা বিসারিত আছে-
মানুষের প্রতি মানুষের অগাধ সম্মান আর ভালোবাসা;
প্রাণ দেয়ার-নেয়ার অফুরন্ত অগাধ প্রতীতি,
পরস্পর বিশ্বাসের গভীর প্রণতি।
কালের বিচার বড় নির্মম, নিষ্ঠুর জগতের মাঝে, হে যুবক!
মোহাবিষ্ট অতিরঞ্জিতরা
পড়ে থাকে অনাদরে দুর্ভোগের গহীন গহ্বরে।
জীবন যুদ্ধের প্রতি পাতায় রক্তের ইতিহাস,
সেইসব রক্তফোঁটা কখনো উজ্জ্বল হয়ে হাসে;
কখনোবা কালসিটে দাগ হয়ে বেঁচেবর্তে থাকে
নিত্য চলমান এই পৃথিবীর বুকে
অবহেলার, ঘৃণার, অবজ্ঞার প্রতিবিম্ব হয়ে।
২০/০৯/২০২৪
মিনা লজ, মারকুইস স্ট্রিট, কলকাতা।