শান্তিধারা আনবে বলে, অশান্তি আজ চারিধার;
সর্বনাশের প্রলয় নাচন! শান্ত-সুজন হয় শিকার।
আগুন জ্বলে আনন্দতায়, নিরানন্দে সব ভেসে যায়;
এ দেশ তুমি করলে নরক ভয় দেখিয়ে; কী বিকার!
ভাবছো তুমি সইবে সবাই অত্যাচারীর অবিচার?

অভিমানে নিত্য কাঁদে হায়-হুতাশে সাধারণ;
করলে বিনাশ শান্তিধারা সংহারিয়া তাদের মন।
ধর্মাধর্মের ঝঞ্ঝাঝড়ে অহংকারে উপড়ে পড়ে
অ-শিষ্টের পীড়নধারায় সইছে তাঁরা নির্যাতন।
কালের বিচার সুক্ষ্ম অনেক হবেই তোমার ঘোর পতন।

লজ্জা তোমার হয়না এখন? উত্তর দাও দৈত্যরাজ!
দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিলে ধরার ধুলায় নিত্য আজ।
ভোগী-লোভী! ঐশ্বর্য চাও? প্রলয় বিষাণ তাই কি বাজাও?
ঈশাণ কোণে মেঘ জমেছে রুদ্রস্বরূপ তাকাও আজ।
অন্ধকারের বলয় ছিঁড়ে আনবে সূরুজ এই সমাজ।

আসছে ওই লক্ষ্মীছাড়া! শুনছি রুদ্র বাঁশির সুর;
বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে করবে হত সব অসুর।
ঘুমপাড়ানির মোহন গানে রইবে না আর ঘরের কোণে;
অমৃত-রস আনবে তুলে মন্থন করে সমুদ্দুর।
তৃষ্ণাচোখে তাকিয়ে আছি পাঞ্জেরী, আর কতোদূর!

৩০/০৮/২০২৪
মিরপুর ঢাকা