কখনো কি স্বর্ণলতিকা দেখেছো তুমি?
আচানক কী সুন্দর কাব্যময় নাম!
তুমি কি জানো, সে পরগাছা পৃথিবীতে?
অবিরাম চরম শোষক চরিত্রের।
যে বৃক্ষের স্কন্ধে স্থান নেয় সে; জানিও,
খানখান করে প্রাণ অবিশ্রান্তভাবে;
প্রয়োজনে সাহায্য করে না কখনোও
চলমান জীবনের অসীম সংকটে।
কী আশ্চর্য! যাকে তুমি দুর্বল ভেবেছো,
দিয়েছো আশ্রয় করুণার মমতায়।
সে-ই ধরণীর বুকে পরগাছা স্বর্ণলতা;
একদিন বড় ভয়ংকর হয়ে যায়!

এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন সেই
অতি মোলায়েম স্বর্ণলতার মতোন।
পতন্মুখ একদল ভর করে থাকে
দৃঢ়-ঋজু অন্যদলের কাঁধের 'পরে।
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় পরস্পর-
ক্রমাগত দেশকে সাজাবে পুষ্পভারে।
অতঃপর, তারা পথে চলে মিলেমিশে,
পরস্পরে হাত ধরে, মিছিলে মিছিলে।
কিন্তু, কখনোই ধরে না তাদের মন;
সুন্দর কাব্যিক স্বর্ণলতিকা যেমন।

প্রদীপ্ত একাত্তরের সংকটের কালে,
বাংলাদেশে নিকৃষ্ট পাষণ্ড ছিলো যারা;
তারা যেন সেই চতুর স্বর্ণলতিকা
শ্যামল সবুজ মুজিবের বাংলাদেশে।
নির্মম পঁচাত্তরের আগস্টের শেষে
নিজ স্বভাবের চতুর প্রভাব ফেলে,
আশ্রয়দাতা বৃক্ষের শাখা-প্রশাখাকে
দুর্বল ফ্যাকাসে করে যায় অবিরত।
দূরবাসী কোন এক সূর্যকর তেজে
ভেতরে ভেতরে হয় বলিষ্ঠ-পুরুষ্ঠ।
কী অদ্ভূত! সেসব স্বর্ণলতিকা হাসে,
হঠকারী ছলনার এ চব্বিশে এসে।

২৮/০৮/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।