চব্বিশ-এর স্বাধীনতা তুমি
নিয়ম ভাঙার বিদ্রোহ-ছল অতুল আস্ফালন;
ছলচাতুরির মিথ্যাবাদীর বর্বর গর্জন!
এই স্বাধীনতা  
শোক দিবসের রাতভর জেগে লুঙ্গি-ড্যান্স গান,
পিতার বয়সী বৃদ্ধকে ধরে রাস্তায় অপমান!
এই স্বাধীনতা  
চৌর্যবৃত্তি, লুটপাট করা সরকারি মালামাল।
এই স্বাধীনতা  
মায়ের-বোনের অন্তর্বাসের গন্ধে উন্মাতাল।
এই স্বাধীনতা  
জাতি গঠনের কারিগর যারা-
শ্রদ্ধেয় সেই শিক্ষকদের প্রতি মর্মান্তিক ঘোর অবহেলা;
জোরজবস্তি, অপমান করা,
পদত্যাগে বাধ্য করানোর চিৎকার!
গুরুর মাথায় থাপ্পড় দিয়ে শিষ্যের ভালো লাগা;
আহা, কী চমৎকার!
এই স্বাধীনতা
উন্মাদ হয়ে পুলিশ মারার কলাকৌশল রপ্ত করার সুখ।
এই স্বাধীনতা  
উন্নয়নের সকল চিহ্ন চিরতরে মুছে দেয়া।
এই স্বাধীনতা  
রাজনীতি নামে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা।
এই স্বাধীনতা  
বারুদ-আগুন নিদারুণ খেলা,
ধ্বংস-লীলায় চুরমার করা সরকারি সম্পদ।
বিধর্মীদের উপাসনালয়ে
হামলা করার, ধ্বংস করার অমানুষী উৎসব!
এই স্বাধীনতা  
জাতির পিতার ভাস্কর্যের ভাঙচুর করা খেলা।
এই স্বাধীনতা  
ধর্মের নামে মাথায় আঁটিয়া বনেদী তুর্কি ফেজ,
রবি ঠাকুরের মূর্তি ভাঙার অতুল প্রতাপী তেজ!
এই স্বাধীনতা  
শোক বিহ্বল বিনীতা নারীর শরীরে আঘাত করা।
এই স্বাধীনতা  
লেখাপড়াহীন বছর বছর ছাত্রের 'অটো পাশ'।
এই স্বাধীনতা  
গুজব হুজুগে রক্তাক্ত হাতে নিরীহ মানুষ হত্যার কৌশল।
এই স্বাধীনতা  
রাস্তার মোড়ে অথবা বদ্ধ আলো-আঁধারির ঘরে
বন্ধুর সাথে তুমুল আড্ডা;
মদ্যপিপাসা মিটানোর পর হতাশার চিৎকার!
চব্বিশ-এর স্বাধীনতা তুমি
বিবেকরহিত জীবনের পথে ছুটে চলা অবিকার।

২৬/০৮/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।