অনন্তের পারাবারে জীবন-মৃত্যুর খেলা নিত্য সহচর,
আনন্দভুবন ফেলে সকলেই যাবে চলে অন্য কোনস্থানে।
কনকচাঁপার মতো পতন কাহারো হলে, হবে সে অমর;
বিশ্বভুবন অঙ্গনে বেঁচে রবে চিরকাল আগামীর প্রাণে।
মানুষের চিত্তমাঝে রুদ্ধবাণী জেগে ওঠে ঘূর্ণিবায়ু হয়ে,
ভুবন দোলানো ঢেউ অন্তরে-বাহিরে জাগে উত্তাল ধারায়।
মরণ পাড়ের ডাক পিছনে টানে না তাঁরে; শিল্পিত হৃদয়ে
সুর জাগে, বাঁধহারা বীণার ঝংকারে অনির্বাণ মূর্ছনায়।
আলোকদীপ্ত ভাস্কর! বর্ণবর্ণে ছন্দেছন্দে পুষ্পপূর্ণ বনে
সুরের লহরি তোল, সারাদিনমান ব্যাপি বাজুক ঝংকারী
এ মর্ত্যলোকের মাঝে প্রকম্পিত বজ্রসুরে; শান্ত সমীরণে
উন্মাতাল সাগরের অতল গহ্বর থেকে তুলে আনো বারি।
আঁধারের বুক চিরে বাসনা জাগ্রত হোক পৃথিবীর কূলে,
অজস্র ভালবাসায় নকশিকাঁথার মতো ভরে যাক ফুলে।
১৪/০৮/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।