অনন্তের যাত্রী আমি
নিরন্তর খোঁজে যাই আলোর প্রদীপ,
অন্ধকার মহাশূন্যে পথ চলতে গিয়ে যখন হারাবো দিক।
ধর্মের ভেতরে খুঁজি, কিছুই পাই না আমি;
কতো মত হায়!
কুহক কাহিনী শুনি ধোপ-দুরস্তের কন্ঠে শত ভণিতায়।
সত্তর হাজার হুর-গেলেমান লোভের কথায় ভরপুর,
আর জ্বলন্ত আগুন, সাপ-বিচ্ছু, গহীন অতল সমুদ্দুর।
এতগুলো দাস-দাসী!
আমার কি প্রয়োজনে সেবাসঙ্গী হবে?
লোভের উপরে লোভ মাথাছাড়া দিয়ে উঠে,
স্তব্ধ হই। তবে,
ঘুষখোর-ধান্দাবাজ-দেশদ্রোহী হারামিরা
আরো লোভী হয়;
কুৎসিত অন্তর নিয়ে পৃথিবীতে অহর্নিশ সাধু বাক্য কয়!
যে যত উচ্ছন্নে যায়,
তার মুখে শুনি ততো ধর্মের কাহিনী;
কথা শুনে মনে হয়, তারা যেন
পৃথিবীতে ঈশ্বর-বাহিনী।
নিজের স্বার্থ হাসিল অভিপ্রায়ে তলেতলে
আর ছলে-বলে,
তৈলাক্ত দেহের মধ্যে
আরো তেল জমা করে, নিপুণ কৌশলে।
দেখি তাই যুগেযুগে জারজ সন্তান-চোর দানবীর হয়,
পরস্ব হরণ করে
পৃথিবীতে লজ্জাহীনভাবে কথা কয়।
মানুষ খোঁজে না তারা,
মৃত্তিকার পৃথিবীর মানুষের মাঝে;
মনন বোঝে না তারা,
বসবাস করে যায় নষ্টের সমাজে।
আলোর পথের যাত্রী হতে চাওয়া
মানুষেরা শোনো- সারাৎসার;
মানুষের কাছে থাকো, ভালোবাসো, ব্যথা নাশো,
ভুলে অহংকার।
জাগরণের বাণীতে তুলে আনো অতুল প্রেমের সম্ভাবনা;
পথ দেখাবে তোমায়
অদেখা অমিত শক্তির ঈশ্বরকণা।

১৩/০৭/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।