নীলিমায় থাকে যদি মেঘমালা, পড়ন্ত বেলায়
সূর্যালোকের পরশে রক্তরাগে আকাশে নন্দন আলো ফোটে।
মানুষজীবনে মোহ-মেঘের বেদনা থাকলেও
অমৃত ভালোবাসার ছোঁয়া পেলে জীবন রঙিন হয়ে ওঠে। আমার সূর্যালোকের জ্যোতি, অনন্ত মহিমা তুমি,
কোমল পরশে আমি প্রতিদিন বিচিত্র রঙে রঙিন হই;
বেলা-অবেলায় এসে একান্ত গোপনে
সেই হারানো দিনের স্মৃতিময় গল্পে মগ্ন রই।
কথার নেইকো শেষ, গুঞ্জরিয়া উঠে শ্রাবণধারার মতো,
থাকে নাকো তাতে আত্মম্ভরের গরিমা;
পালের হাওয়ার নায়ে ভেসে যাই দূরে, বহুদূরে,
পৃথিবীতে নেই যার সীমা পরিসীমা।
অন্ধকার বেদনার অতল গহ্বর থেকে উঠে আসা তুমি,
অনন্তপারের উজ্জ্বল আলোর জ্যোতি-  
বিরস দিনের শোভা, প্রবল বিদ্রোহে জেগে ওঠা
চন্দ্রকিরণের ছায়া আমারই প্রিয়তি।
আজ দখিনের হাওয়া উতল হয়েছে তোমার পরশ পেয়ে,
মৃদুমন্দ গহীনের উঠে আনন্দ সঙ্গীত, ওগো মেয়ে।
মেঘের রঙের মায়া, নিশিত রাতের তারা,
জরাজীর্ণ পালকের অন্ধকারে
ডুবে যাচ্ছে আমাদের আকাঙ্ক্ষিত পথ;
অনুভূতি মুছে যায় নিকশিত নিশি অভ্যন্তরে,
স্তব্দ হয় জীবনের নিরুপম চলমান রথ।
ডুবে যায় অন্ধকারে প্রস্ফুটিত ফুলের বাগান;
এখন শুনি না আর অন্তহীন জীবনের গান।

১৫/০৭/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।