মরাগাঙ্গে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ তুলে যায় কে,
শান্ত-শীর্ণ-জীর্ণ আমার নদীর গভীরেতে?
তার সে অমল-ধবল মুখের হাসি
যতোই দেখি ততোই ভালোবাসি
স্বপন জাগায় মৃত চিত্তে আচম্বিতে ফিরে।
দুঃখ-বেদনহরা সে তো মধুরহাসিনী,
বীণার বাণী কণ্ঠে জাগে মিষ্টিভাষিনী।
মুগ্ধ নয়ন ভীষণ ব্যাকুল হলো
সুপ্ত হৃদয় হয় যে এলোমেলো
বিশ্ব মাঝে শুনছি আমি অশেষ রাগিনী।
চিত্ত আমার সিক্ত হলো তাঁর ছোঁয়াতে আজ,
হারিয়ে গেলাম কুঞ্জবনে ভুলে ভয় ও লাজ।
সামনে দাড়াই রিক্ত দু'হাত মেলি
মরা বাঁচার চরম খেলা খেলি
তাঁর আঁখিতে ঝিলিক উঠে অরূপ কারুকাজ।
ওগো আমার শিউলিগন্ধা! চিরচেনা সুরে
বাজাও বাঁশি দূরের হাওয়ায় স্নিগ্ধ সুমধুরে।
ম্লান মুখে আজ দূরে চেয়ে থাকি
লজ্জা ভয়ে নিজকে নিজেই ঢাকি
মোহন সুরে উর্মি জাগাও আমার সমুদ্দুরে।
আকাশ হতে আকাশে পানে ছুটছি নিরন্তর,
বাঁধনহারা তারার মতো বাঁধছি খেলাঘর।
মোহমেঘের কালো ছায়া এসে
গ্রাস করে যায় সকল অবশেষে
দিনের শেষে বুঝে গেলাম আমিই অবান্তর।
সত্য প্রণয় হয় না বিলয় মূর্ত মহীতলে,
শরৎ শিশির হয়ে তারা ঘাসের ডগায় জ্বলে।
মানিক হয়ে জ্বলছো প্রতি ভোরে
আনন্দতায় হেসে অকাতরে
রক্তআলোর বহ্নিশিখায় হাসছো মর্মমূলে।
১৩/০৭/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।