তিমিররাত্রি নিবিড় নিশিথ দেখছি না দিশা আর,
চারিদিকে নামে অমাবস্যার কৃষ্ণ অন্ধকার।
যতো সুন্দর নিষ্ঠুর হাতে নিয়ত নিহত হয়,
নিঃসহায়ের অশ্রুসিন্ধু বইছে জগৎময়।
ক্রন্দন শুনি ব্যথিতজনের বিশ্বের প্রান্তরে,
দুর্বৃত্তের প্রবল প্রতাপে অকালেই তাঁরা ঝরে।
বুকের মধ্যে হাহাকার ওঠে, সুদূর শূন্যে চাই,
এর প্রতিকার, সমাধান দিতে কেউ কি কোথাও নাই?
কল্পকথার গল্প শুনেছি- যুগে যুগে ঈশ্বর
অন্যায় যতো করে প্রতিহত; সব কি অবান্তর?
শৌর্য-খেলায় ভীরু মানুষের প্রাণ করে সংহার!
শূন্যের প্রভু! ধরণীতে এসে করো এর প্রতিকার।
কাঁপাও ঝড়ের ব্যাপকতা দিয়ে অত্যাচারীর বুক,
লক্ষ হাজার কোটি মানুষেরা উন্মুখ, উৎসুক।
কাঁদে ফিলিস্তিন, বিশ্ব মুসলিম, কাঁদিছে জগতবাসী,
তুমি কি এখনো নিরুর মতোন বাজাবে সুখের বাঁশি?
আনো আবাবিল নিপীড়িত দেশে, সামুদ ধ্বংসলীলা
আনো পৃথিবীতে, বন্ধ করিতে দুর্বৃত্তের খেলা।
প্রলয় স্রোতের ফেনায় ভাসাও সকল অত্যাচারী,
নূহের প্লাবন আনো; শোনো, এই মানুষের আহাজারি।
নইলে তোমার অস্তিত্বের উঠবে প্রশ্নবান,
আরশ-কুরসি, স্বর্গ-নরক সব হবে খান খান।
আমি আছি এই জগতের মাঝে, তুমি আছো ঈশ্বর,
আমি যদি না-ই থাকি এ ভুবনে, কি হবে অতঃপর?
আমি না থাকলে থাকবে না তুমি ভয়ের আকর হয়ে,
আমিই তোমাকে সৃষ্টি করেছি রঙের মাধুরী দিয়ে।
মহা-মহীমের অতুল শক্তি পুনরায় তুমি দেখাও,
তুমি আছো এই বিশ্বাসটুকু মানুষের মনে জাগাও।

০৬/০৭/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।