আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো;
জীবনপাত্রে আনন্দ দিতে আমাকেই ভালোবেসেছো।
বাতাসে বাতাসে যুগান্তরের সংগীত ভেসে যায়,
ভেতরে-বাহিরে উচ্ছ্বসী উঠে বিরহের বেদনায়,
পুলক জাগানো কাঁপন উঠেনি শরীরের দরিয়ায়;
ঘোর বেদনায় কেঁদেছো।
আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো।
দখিনা সমীরে মেঘ বয়ে আনে উতল হাওয়ার পালে,
অদৃশ্য ডোরে বেঁধেছো আমারে সুকঠিন মায়াজালে,
সাজাতে আমারে নীরব আঁধারে বেদনাবিঁধুর কালে
নয়নের জলে ভেসেছো।
আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো।
ভাঙিলো বাণীর বীণার ছন্দ, ভাঙিলো নৃত্যকলা,
নিবিড় গহীনে হৃদয়ের কথা হয়নি কখনো বলা,
বাণীহিল্লোলে অধীরতা ছিলো, ছিলো না তো ছলাকলা;
মিছেই উতলা ভেবেছো।
আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো।
ঘন যামিনীর নীরব আঁধারে জ্বলিছে উজল তারা,
তুমিও জ্বলিছো হৃদয় আকাশে, আমিও আত্মহারা,
ছড়িয়ে দিয়েছো প্রাণের গহীনে সুখরস সুধাধারা;
ভাবের কারায় বেঁধেছো।
আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো।
পুর্ণতা এসে উছলিয়া উঠে সমূহ সুখের দানে,
তোমার মাধুরী সাগরতুল্য মূল্যের পরিমাণে,
মরমের মাঝে ঢেলে গেছো সুধা আনন্দগানে গানে;
আমারে ধেয়ানে রেখেছো।
আমি জানি, তুমি এসেছো এ পথে, অবচেতনের
মনের ভুলেই এসেছো।
০৩/০৭/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।