দীপ্ত প্রদীপ অন্ধকারে জ্বালিয়ে নিয়ে,
রুক্ষমনের দৈন্যজ্বালা নিভিয়ে দিয়ে,
সগৌরবে বললে- 'বন্ধু, ভালোবাসি'।
লক্ষ শিখা উঠলো জ্বলে আঁধার ঘরে,
প্রলয়-ডঙ্কা বাজলো তখন তীব্র স্বরে,
নিশিথগগন হাসলো বুঝি অট্টহাসি!

ভগ্নতরী ডুবলো জলের অতল তলে,
ভাসলো আকাশ-পাহাড়-সাগর অশ্রুজলে,
চতুর্দিকে হাহাকারের মাতম উঠে।
আনন্দতার রঙিন সুঁতোয় লাগলো আগুন,
পুড়লো সকল কাননবিথির সুখের ফাগুন,
পথের ধারে শূন্য ধূলায় পড়লো লুটে।

স্তব্ধ হলো শোভনক্রিয়ার নির্ঝরিনী,
বন্ধ হল বন্ধনা-গান সম্মোহনী,
নবোদিত সূর্যের কর নিভে গেলো।
অভ্রভেদী বাসনা-তীর দিকভ্রষ্ট,
তিমিররাত্রে জড়িয়ে থাকে নীল কষ্ট,
সুখপাখি কয়- 'দূরে চলো, পাখা মেলো'।

৩০/০৬/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।