আজিকে শুনছি হৈ-হুল্লুড় চিৎকার চেঁচামেচি
দেখছি অনেক টকটকে লাল রক্তের স্রোত বহে
ছুরির ঝলকে বিদ্যুৎ খেলে, কসাইয়ের মুখে হাসি
আজ কোরবানি, কোরবান হবে শত শত গরু খাসি।

কিশোর-কিশোরী রঙিন পোশাকে দল বেঁধে হেঁটে চলে
বৃদ্ধরা আজ তফাৎ থেকেই কোরবানি দেখে যায়
যুবকেরা অতি খোশগল্পের আনন্দে কথা কয়
গোস্তের ঘ্রাণ মনের ভেতরে সুখ আনে নিশ্চয়!

দুরেতে দাঁড়ায়ে গরিব শিশুরা চেয়ে থাকে ফ্যালফ্যাল
কোরবানি যেন তাদের হৃদয়ে খুশির জোয়ার আনে
কাটাকাটি শেষে কিছুটা গোস্ত বিলাবে ধনিকজন
বহুদিন পরে খাবেন গোস্ত পরিবার-পরিজন।

ঘুষ-রাহাজানি, ছলচাতুরিতে যে করে উপার্জন
বড় বড় খাসি, মোটাতাজা গরু কোরবানি দেয় তারা
অথচ বাড়ির পাশের গরিব পায় না দুমুঠো ভাত
ওরাই জাতির চির-দুশমন, অমানুষ বজ্জাত।

কোরবানি দেয় বনের পশুরে, মনেতে পশুর বাস
ত্যাগ করে নাকো হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসার মায়া
ঈদের দিনের আনন্দতায় হাসে না সবার মন
অসৎ টাকায় কোরবানি দেয় মন্দ অসৎজন।

ওরে মুসলিম! দে রে কোরবানি মনের পশুকে আজ
মাফ চেয়ে নাও অতীত ভুলের অন্যায় অপরাধ
আজ থেকে হও সঠিক মানুষ, মানুষের প্রয়োজনে
কাজ করে যাও ভনিতাবিহীন সরল সুবোধ মনে।

১৭/০৬/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।