হে বধ্যভূমির মেয়ে! অমিত সাহসী
তুমি; এই বাংলাদেশে অনন্তকালের
মূর্ত দুঃখের আখ্যান। স্বর্গের উর্বশী
মর্ত্যে এলো ছিঁড়ে দিতে ঊর্ণভ জালের
ঠুনকো, অসত্যের বাঁধা। প্রবল প্রতাপে
আগাও সম্মুখে, যেন সাগরের ঢেউ-
উত্তাল উর্মীর ন্যায়। যন্ত্রণার চাপে
থেমে যাওনি; যদিও, পাশে ছিল না কেউ।

এই কানে যত শুনি জীবন-কাহিনী,
বিষাদিত হয়ে যাই। বিমূর্ত বিস্ময়ে
ভাবি; তুমি যেন সেই চির বিরহিনী,
মর্ত্যলোকে নেমে এলে চন্দ্রাহত হয়ে।
বিপরীত স্রোতে চলা দুঃখিনী বালিকা!
লহ প্রেম-ভালবাসা, শ্রদ্ধার মালিকা।

০৭/০৬/২০২৪
ওয়াটার হাউজ, ভালুকা, ময়মনসিংহ।

(একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- ড. সেলিনা রশিদকে উৎসর্গীত কাব্যকথা। যিনি পিতার লাশের সন্ধান এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি বদ্ধভূমিতে। নিজ প্রচেষ্টায় বধ্যভূমির মাটি সংগ্রহের মাধ্যমে তৈরি করেছেন "পবিত্র মাটির জাদুঘর"।)