বয়স বেড়েছে ঢের!
ও তো, এ মানুষ জীবনের এক অদৃষ্টেরই ফের।
বয়সের কথা বাদ দাওরে এবার;
বাদ দাও ওই বিগত দিনের বছরের সংখ্যার।
হোক সত্তর, অথবা বছর আশি;
ও নহে সর্বনাশী।
বয়সের কালো পাছায় এবার লাথি মারো খুব জোরে,
ধুমধাম দুদ্দাড়ে।
লাথি মারো ভোর-প্রভাত বেলায় কষে,
ঘুম থেকে জেগে আরামদায়ক সুখ-শয্যাতে বসে।
অতঃপর, তুমি জামা পরো, জুতো পরো,
সেজেগুজে বাবু হয়ে ঘর ছেড়ে নিরিবিলি পথ ধরো।
বের হয়ে যাও দ্রুত,
দেখতে ভোরের লাল সূর্যটা প্রিয় প্রিয়তির মতো।
বিছানা বলবে ডেকে- 'ওরে বুড়ো, শোন না!
বৃদ্ধ হয়েছো, এবারের মতো থাম না।
আরো কিছুক্ষন শুয়ে থাকো, করো আরাম'।
বলে দাও তারে- 'এসব আরামে হারাম।
যতটা আরাম, ততটুকু হবো বুড়ো;
শরীরের সাথে আরাম পিয়াসী মনটাও হবে খুঁড়ো।
বয়সের পোঁচ শরীরের মাঝে যতই কাটুক দাগ,
প্রকৃতির সাথে নেইতো ক্ষাণিক রাগ।
মনটাকে আমি করবো যুবক, পঁচিশের কাছাকাছি;
সেই ফর্মুলা সমুদয় জেনে গেছি'।

ওগো, বয়সীয়া মানুষ,
এই পৃথিবীর রঙের রঙিন ফানুস!
কখনো হয়ো না বৃদ্ধ;
সর্বদা থেকো চিরসবুজাভ, সতেজ এবং ঋদ্ধ।
ভালোবাসো প্রাণী, মাটি ও মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা;
দূর করে দাও নিন্দা করার বাসনার সব জ্বালা।
নির্বিষ হয়ে মিশবে সবার সাথে,
স্বার্থের লোভে যাবে না কখনো অহেতুক সংঘাতে।
হাসবে-খেলবে-নাচবে ইচ্ছেমতো,
নিন্দুকজনে নিন্দা করুক যতো।
আপনাকে ভালোবাসো,
ঈর্ষাকাতর মনের কালিমা নাশো।
মন যে তোমার হবে খুব ফুরফুরে,
বয়স যাবেই উড়ে।

বয়স বলবে তখন- 'বুড়োর আছে রে অনেক দম!
পালাই এখন; এই শালা বুড়ো; বুড়ো বয়সের যম।

২১/০৫/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।