পড়ন্ত বেলায় এসে তুমি
গোরখোদকের মতো হৃদয় খুঁড়ছো!
কোনকিছু পাওনি বলে অন্ধকারে নিশ্চুপে নীরবে
নিজের মাঝে নিজেই নিয়ত পুড়ছো।

বণিকের কাছে ছিলো বিপুল অর্থ ও সরঞ্জাম,
পুরুষ্ঠু শরীরে তার বনেদি চেকনাই;
বিমোহিত হলে তুমি সোহাগ-আদর পেতে, তাই,
বেড়ালের ভঙ্গিমায় চলে গেলে নিস্তব্ধ নীরবে,
নিরীহ কবির প্রেম-ভালোবাসা সমূলে উৎপাটন করে;
বণিকের কাছে নিলে ঠাঁই।

কবির মৃত্যু হয় না, টিকে থাকে সে বিজয়ী-বেশে,
অনাদিকালের শক্তি তাঁর হৃদয়ের মাঠে খেলে;
বেঁচে থাকে কবিপ্রাণ চিরকাল সপ্রতিভ হয়ে,
সঞ্জীবনী সুধা পিয়ে দুঃখের আকরে।

মৃত্তিকার পৃথিবীর অর্থ-বিত্ত-বৈভবসমূহ-
ভোগের আনন্দ দেয়; সুখ-স্বস্তি দিতে পারে নাকো।
পুষ্পের শরীর ছুঁতে মধুচোর ভ্রমরেরা আসে;
অতঃপর, চলে যায় ফিরে না তো আর
শোক-দুঃখের চিৎকারে নাম ধরে ডাকো যত তারে।

সবিশেষ, প্রতিভাত হলো-
প্রেমিকারা ভালোবাসে নিরীহ কবিকে,
অতঃপর, বণিকের প্রত্যাশায় দূরে চলে যায়।

৩০/০৫/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।