হৃদয় যখন চায় করুণা; তখন তুমি, হে বরুণা!
কঠিন কঠোর হয়ে থাকো মর্ত্যলোকের মাটির মত।
প্রাণ আছে এই দেহের মাঝে; কিন্তু, আমি যে তরু না-
দুঃখে কাতর; ভালোবাসায় হেসে উঠি অবিরত।

স্বপ্ন দেখি অনেক আলোর অন্ধকারের গহীন তলে,
পরশ মাগি কোমল হাতের অবসন্ন শ্রান্তিকালে।  
প্রখর দুপুরবেলায় যেমন শান্তি লভে নদীর জলে
কর্মক্লান্ত তৃষ্ণার্ত রাখাল বালক, গরুর পালে।

খুঁজছি তোমায় দিবস-যামী পাহাড় চূড়ায়, মরুর দেশে-
পাগল বেশে নিত্য খুঁজি দেশ দেশান্তর মহীতলে।
পাইনি খুঁজে তোমার দেখা, তাই কেঁদেছি। অবশেষে,
পেলাম খুঁজে, আমার সকল দুঃখনাশা চোখের জলে।

নিত্য আসো দর্পভরে, খর্ব করে মান অভিমান!
গড়িয়ে পড়ো তরল রজত জোৎস্নার ন্যায় পূর্ণিরাতে।
সরস হাতে ভেঙে দিয়ে এই জীবনের সাধ-আখ্যান,
বুঝতে পারি এখন আমার কাটছে জীবন তোমার সাথে।

১৯/০৫/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।