এই পৃথিবী- রৌদ্রদগ্ধ আতপতপ্ত বালুকারাশির জ্বালা,
তীব্রদাহন রুক্ষভূমির খর্জুরতরু-কণ্টকেরই মালা;
            যন্ত্রণা দেয় ধূসর মহীতলে।
            নিম্নে জলের ফল্গুধারা চলে,
স্বপ্নচারী জ্ঞানীরা পায়। মূর্খেরা কয়, 'দুঃখ থেকে পালা'।

আত্মশক্তি কর্মপ্রিয় বলিষ্ঠজন স্বপ্ন যদি দেখে,
যুগান্তরের বহ্নিশিখায় জ্বলে ওঠে, তাকায় অনিমেখে।
            লক্ষ্যরেখা ছোঁয়ার অভিপ্রায়ে,
            শপথ নিয়ে ছোটে দৃপ্ত পায়ে;
শ্রদ্ধাবরণ বিজয়গাঁথার সংবর্ধনায় সেই ইতিহাস লেখে।

প্রেম-বিরহ, কান্না-হাসি, দুঃখ ও সুখ নির্বিকারে ঠেলে,
তরঙ্গরূপ ছুটে চলে অলৌকিক সেই ফিনিক্স-পাখা মেলে।
           ভয়কাতুরের দৈন্যদশা নাশি',
           ‌বেজে ওঠে অর্ফিয়াসের বাঁশি;
পাহাড় সাগর মরুভূমি হয় একাকার জলে এবং তেলে।

স্বপ্নচারী কালের ভেলায় ছোটো না আর উদ্ভ্রান্তের মত,
জানে, আঁধার শেষ প্রান্তে উজল প্রদীপ জ্বলছে অবিরত।
            পরান যখন গায় জীবনের গান,
            তখনই হয় স্বপ্নেরই উত্থান;
স্বপ্ন-সফল জীবনধারায় দুঃখ-কষ্ট, যাতনা হয় গত।

১৫/০৫/২০২৪
মিরপুর, ঢাকা।