কেনো ভালোবাসবে না আমায়?
আমি কি গো নষ্ট কোনো সৃষ্টি?
এখনও যে নীরব নিরালায়
ঝমঝমিয়ে ঝরে অঝর বৃষ্টি।
তোমার জন্য রাখছি জীবন বাজি,
রাত্রি-দিবস হয় একাকার সদা।
সকল ছেড়ে ছুটে আসতে রাজি,
তুমিই আমার প্রিয় প্রিয়ংবদা।
একটি ভুলের জন্য তুমি আমায়
ছুঁড়ে ফেলে দিলে বহুদূরে।
সাগর-নদী ভরছে যে কান্নায়,
হৃদয় আমার কাঁদে বিষাদ-সুরে।
আমার জীবন-মরণ-বাঁচা সব
সাজিয়ে রাখি শুধু তোমার জন্যে।
থাকলে পাশে লাগে যে উৎসব,
তোমায় পেতে হলেম আমি হণ্যে।
ভিন্ন থাকার দিন যে আজি শেষ,
ধ্যানে-জ্ঞানে রাখছি তোমায় প্রিয়।
তোমার পরশ আনন্দ-আবেশ-
শিরিন শরাব; তা' যেন অমিয়।
পরাণ ভরে গেলাস গেলাস পিয়ে
তোমার নামেই মত্ত হবো আজ।
হাসবো-খেলবো-নাচবো তোমায় নিয়ে;
হে প্রিয়তি! আমার মাথার তাজ।
হৃদয়-বিহগ তোমার দেখা পেতে
উথাল আজি তীর্থ-পথিক হয়ে;
দয়া করে, ডাকো গো সংকেতে
মিলন হবে হৃদয়ে হৃদয়ে।
পরাণ-পিয়া! দয়া করে, এসো,
থেকো না আর সুদূরপারে বসে।
আগের মতই আমায় ভালোবেসো
না হয় তোমার বদনাম হবে শেষে।
দয়াবতী, নাম নিয়েছো তুমি;
ভালোবাসায় দাঁড়িপাল্লা কেনো?
তোমার নামেই আমার গোয়ার্তুমি
চলবে হাজার বছর, তুমি জেনো।
আমার বুকে রক্তরেখা যত
শ্রদ্ধা-প্রেমে তোমার পায়ে রাখি;
দোল দিয়ে যাও নিত্য অবিরত;
তুমি শরাব, তুমিই আমার সাকি।
আমার বলে যেসব কিছু আছে,
সবই তোমার দয়ার অনুদান।
সমস্ত থুই তোমার পায়ের কাছে;
দয়া করে, করো এবার ত্রাণ।
পূর্ণ কর আমার মনস্কাম,
চিরকালের দীন-ভিখারী আমি।
কিভাবে দেই তোমার প্রেমের দাম?
হে প্রিয়তি! ভাবছি দিবস-যামী।
ভালোবাসা নয়তো হেলাফেলা,
শ্রদ্ধা-প্রেমে থাকে পরস্পরে।
ভক্তিরসের সৃষ্টির এক খেলা-
আনন্দ-সুর বিষাদী অন্তরে।
২৯/০২/২০২৪
ঢাকা।