বিষজ্বালা বুকে নিয়ে এসেছিলে, সাজাতে সমাজ-সংসার;
রক্ত-লেখায় লিখে গেছো তাই। পারোনি করতে সংহার
অত্যাচারীর অশুভ শক্তির,
ছল-ছলনার। বিষাক্ত তীর
তীর্যকভাবে হেনেছে আঘাত তোমারই বক্ষে বারবার।
তাই, বুঝি তুমি বিদ্রোহী হলে? করোনিকো কভু নত ঘাড়।
আজ যত শুনি দ্রোহীতার বাণী কবিদের লেখা কবিতায়;
শুনে মনে হয়- স্বার্থবাদীর, ক্ষমতালোভীর ভনিতায়
মিনমিনে স্বরে বলে কতো কথা,
দেশপ্রেমহীন, নাই মানবতা;
কুটিল-চক্রে শব্দ সাজিয়ে তোষামোদি করে মধু চায়,
রাজ-ক্ষমতার ছিঁটেফোটাটুকু চেটেপুটে সব খেতে চায়।
অত্যাচারীর সর্বনাশের কথা, বলে নাকো আরতো কেউ,
নিশুত রাতের মুরগী চোরার ছলেবলে চলে চতুর ফেউ।
কবির বাণীর উচ্ছ্বলতায়,
জাগুক আবার দৃপ্ত কথায়;
চিন্তা-চেতনে, তেজস্বীতায় মরা সমুদ্রে উঠুক ঢেউ;
বিশ্বাস রাখি, আবারে আসবে বিদ্রোহীরূপে কেউ না কেউ।
ধরণীর মাঝে কবি হয়ে এসো; আগামী দিনের মহা-সাধক!
সমূলে পোড়াতে শত অনাচার দাউ দাউ জ্বলা শ্বেত-পাবক।
চেয়ে আছি পথ হয়ে উদগ্রীব;
মানুষের ধরা করতে সজীব,
জীবনবাজীর প্রতিজ্ঞা নিয়ে নিষ্ঠাময়ের ন্যায়-ধারক;
কর্মে-কথায় অবিচল রবে, মানুষের সুখ-উন্মোচক।
ওগো, অনাগত সত্য-সাধক! কবি হয়ে এসো এই ভবে,
রাজ-রাজটিকা পরাবো তোমারে মানুষের প্রেমে, উৎসবে।
উঠুক জাগিয়া তোমার লেখনী,
ধ্বংস করতে লোভাতুর খুনি।
আমরা পারেনি অসুর নাশিতে অমিত ন্যায়ের সৎ-রবে;
উন্মুখ হয়ে চেয়ে থাকি সদা, আসবে কবি এ পথে কবে?
সৌরভময় বনফুল এক ঝরা বকুলের সাদা ফুল,
পথের নিশানা দেখিয়ে গিয়েছে, পৃথিবীতে যার নাই তুল।
কেঁদে-হেসে কবি গেলেন বাহিয়া
দুঃখ-তরনী জগত ব্যাপিয়া;
যার নামে আজ নান্দী পাঠের উৎসব চলে হুলুস্থূল,
নবতর নামে ধরণীর বুকে আসবে আবার নজরুল।
০৭/০৯/২০২৩
ঢাকা।