ওরা চেয়েছিলো মুজিবের নাম মুছে দিতে চিরতরে,
ওই নাম যেন ভয়ের কারণ তাহাদের অন্তরে!
তারা গুলি ছুঁড়ে হত্যা করেছে মুজিবের পরিবার,
ওরা ভেবেছিলো মুজিবুর শেষ! আসবে না ফিরে আর।
যে সকল স্থানে লেখা ছিলো নাম, মুছে দেয় তারা সব,
জয়-উল্লাসে চিৎকার করে, করেছিলো উৎসব।
জোরালো কন্ঠে বলেছিল তারা, 'মুজিবুর আসবে না,
ইতিহাস থেকে মুছে যাবে শেখ মুজিবুরের ঠিকানা'।
যতো পরাজিত শত্রু আছিলো রাজাকার-বর্বর,
পাকিস্তানের দালালেরা সবে ছুটে আসে, অতঃপর।
'ইরেজ' করেছে মুজিবের নাম যতো ছিলো বাংলায়,
মুছে দিলো তারা কৌশল করে নানাবিধ ছলনায়।

যতো করে ছল ততো উজ্জ্বল হয় মুজিবের নাম,
মৃত মুজিবুর আরো দৃঢ় হয় এইটুকু জানিলাম।
এখন মুজিব আকাশের তারা, বাতাসের সুঘ্রাণ,
এখন মুজিব পাহাড়-দৃঢ়তা, সাগরের কলতান।
জেগে ওঠে যেন ফিনিক্স পাখি, মানুষের চিন্তায়;
মুজিবুর যেন চিরবসন্ত শ্যামলিমা বাংলায়।
আজ লেখা হয় মুজিবের নাম সকল সাহসী কাজে,
মুজিবুর ছিল, মুজিবুর আছে, থাকবে হৃদয় মাঝে।
অবিনশ্বর শেখ মুজিবুর শ্যামল বাংলাদেশে,
চেতনার ঘরে তোলপাড় করে জেগে উঠে পরিশেষে।
ফসলের মাঠে মুজিবের ছবি, কৃষকের মুখে হাসি,
এই বাংলার সন্তান তিনি, তাঁকে খুব ভালোবাসি।

সাধারণ সব মানুষের কাছে 'বঙ্গবন্ধু' তুমি,
তোমার জন্য আজো গর্বিত বাংলার সোঁদাভূমি।
মুক্তি-দূতের বারতার বাণী শোনায়েছো জনে জনে,
তোমার সে ডাকে মুক্তি-সেনারা লড়েছে রণাঙ্গনে।
নিজের জীবন তুচ্ছ ভেবেছো মানুষের সুখ লাগি'
জেল-জুলুমের কষ্ট সয়েছো ভোগের বিলাস ত্যাগি'।
স্বার্থবিহীন প্রেমিকের মতো নিজেকে উজার করে
দিয়ে গেছো তুমি প্রেম-ভালোবাসা, মানুষেরা তাই স্মরে
আজিকে তোমায়; হে মহান নেতা! জাতির জনক তুমি,
তোমার জন্মে ধন্য হয়েছে শ্যামল বাংলা-ভূমি।

রক্ত-লোলুপ পিশাচের মতো রাতের অন্ধকারে,
স্বার্থলোভীরা নিঠুর পাষাণ ওই প্রাণ সংহারে!
ধিক, শত ধিক! সকলে জানায় সেসব খুনিকে আজ,
মরেও যে তুমি অমর হয়েছো; বাঙালি-রাখাল রাজ!
জগতের মাঝে সে-ই অমর, যে রহে মানুষের মনে,
নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যায় মানুষের প্রয়োজনে।
পদ্ম-মেঘনা-মধুমতি বহে জল নিয়ে অবিরাম,
জলের কণ্ঠে আজো শুনি আমি, তোমার অমর নাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সন্তান বাঙালির,
সেখানে শোষণ-শাসন, সেখানে তোমার উচ্চ শির।

০৯/০৭/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।