আমি না হয় অধিক খারাপেরও খারাপ।
এমন পাপাচারী যার কুরবানিতে খোদাও খুশি।
আমি না হয় পাপ গাছের রস টইটম্বুর এক ফল।
শেষ নিঃশ্বাস নাকের ডগায়, তবু সে ফল ছুঁবে না।
নবী লুত (আঃ) কুষ্ঠ রোগে সমাজ ছেড়ে গেলো,
স্ত্রী তো ছেড়ে যায়নি বরং পরম মমতায় আগলেছি।
স্ব-প্রাণ সংসয় জেনেও স্বামীর জন্য একা লড়েছে।
এক অদ্ভুত উদাহরণ স্ত্রীর কাছে স্বামিত্ব মাথা নুয়েছে
মানুষ, ফেরেস্তা কিংবা মনীষী নয় বরং একটা পশু।
সমাজ ছাড়েনি, কেউ না, কেউ না, ছেড়েছি নিজে।
সত্যি বলতে পশু হলেও ভালোবাসা নিখুঁত ছিলো।
সাময়িক রাগ নিতে পারোনি, শুধলে নিচ্ছি নিজকে।
যে পশু নিজকে শুধরায়,সেতো মানুষেরই একজন
সত্যি কী? তুমি হীনা মানুষ হতে একদমই মন চায়না।
পশু যদি আরো ধ্বংসাত্মক হয়?
ভালোবাসা কী তবে মিথ্যে বাণী।
তোমাকে চিনবো কী করে? নিজেই যখন অচেনা!
স্বাভাবিক বোধ ভুল-শুদ্ধ নির্ণয় করে।
তুমিতো জানতে আমি সে বোধেই নেই।
আমার মতো বোধহীন হয়ে দু'জনাতে একই ভুল।
যে নিজেকে সাহায্য করে খোদা তাঁকে সাহায্য করে।
এখন আমি নিজকে চিনেছি তাই তোমাকেও।
আবারও স্ত্রীর ত্যাগের কাছে স্বামিত্ব হোক উদাহরণ।
ফিরে এসো তুমি আবার প্রেমিকের কাছে নয়,
এক অভাগা স্বামীর কাছে অভাগিনী স্বত্বা সঙ্গিনী।
খুলেছে চোখের পলক ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ।
রাণী হীনা রাজ্য ধূ ধূ বালুচর করছে আঘাত নিত্য।
তুমি ফিরলে বসন্ত আসবে, কোকিল ডাকবে...
সবুজে সবুজে চেয়ে যাবে আমার শহর।
লক্ষ্মীটি আমার ফিরে এসো এই যে তোমারই নগর।
যা সাজিয়েছো এতকাল ধরে তাতে কলি ধরেছে।
গোলাপটা অভিমানে ঝরে যাবে আমার সমাধিতে।
প্লিজ তুমি ফিরে আসো... শুধু একবার
শত কোটি বার পড়বো প্রেমে নব-সূর্যের ন্যায়
যদি তুমি না ফিরে আসো...বলবো ভালোবাসি।
যা একটু আলো, সেথায় নামবে চির অন্ধকার।