বাবা বলতো , বাবা,পেট মেরে বাণিজ্য করবিনা কখনো।
পেট শান্তি তো দুনিটাওটা শান্তি।
বাবা কথার ঠিক ছিল মাথায় জ্ঞান ঘর খোলা না অবদি।
এরপর, ধীরে ধীরে সমাজের মুখুশ উন্মোচন হলো।
আমি শকুন, হায়েনার চিন্তে থাকলাম।
আমার কাছে বড়ো হতে থাকলো সমাজের নর কীটদের তালিকা।
রক্ত চুষে খাওয়া জোকদের তালিকা।
আমি বুঝে ফেললাম কার রাজ প্রাসাদ কে ভোগ দখল করে খাচ্ছে।
কে স্বৈরাচার আর কে তেলা মাথায় তেল দিয়ে আম জনতার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে।
আমার বিবেকের আদালত বুঝে ফেললো, কখন হাত জোড় করে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, আর কখন সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল করতে হয়।
আমার জোড়া চোখ বন্ধ করলেই ভেসে আসে কে চোর পুষে আর কে মানুষ দেখানো ও বোকা বানানো ধমক দেয়। কে রাজনৈতির কল কাঠি নেড়ে উপরে বেয়ে উঠছে কোমরে বন্ধুক গুঁজে। আর কে মানুষ মেরে মানুষ খুঁজছে।
আমিও বাবা কে হারিয়ে যেদিন থেকে মানুষ খুঁজতে শিখেছি তবে থেকেই আমি আর মানুষ দেখেনি চোর, বাটপার, ধর্ষক, নরপিশাচ, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ, কালপিট ছাড়া।
আর স্বভাবতই জ্ঞানঘর খোলার পর আমি আর পেট পুরে একবেলা শান্তি খুঁজে পাইনি। ...না আজও পাইনি।
এই প্রথম বাবার কোনো বাণী মিথ্যে হলো আমার কাছে।
বাবাকে মিথ্যে বানালো এ দেশের জঘন্যতম ক্ষমতার লোভ ও রাজনীতির মানচিত্র।
যদিও বাবা গুলো কখনোই অমানুষের তালিকায় পরেনা কখনো কোনো ছেলের নজরে এবং আমারও....