প্রিয় শ্রাবণী,
তোমার জন্য অপেক্ষার পেন্ডুলাম দু-চোখের দৃষ্টি সমান। এক নিমিষেই নজর যতদূর যায় ততটা।
বিষাদগুলো কয়েকটা আসমানের জায়গা জুড়ে ভাড়া করে রাখার মতন।
ব্যথা পুষে রাখার জল কয়েকটা পৃথিবীর তিনভাগ জলরাশির সমান।
তিন হাত শরীরের অজস্রো রক্ত ক্ষরনে- সকল অজানা দুনিয়ার মৃত্তিকা রক্ত জমাট বাঁধায় লাল-খয়েরী হচ্ছে সাত দোজখের সমান করে।
চল্লিশহাজার বছর ঘুমন্ত মৃত সকল সৃষ্টি কূলের অভিমান পাহারা দিচ্ছে তোমার হাসিকে প্রতি নিঃশ্বাসে ফিরে পাবার জন্য।
তোমাকে ফিরে পাবার আশায় আমার ফেরেশতার মতন বিশ্বাস- খাঁটি স্বর্ণের ন্যায় অন্তরদাহে পুড়ে পুড়ে তোমার নাম জপছে।
তোমাকে জান্নাত হিসেবে পাবার জন্যে হৃদপিন্ড চিৎকার করে পবিত্র ভাবে ডাকছে তাওয়াফ করার মতোই।
গোটা পৃথিবীর প্রসব বেদনার যন্ত্রণার মত ভুগছি তোমার কোমল পরশ ছাড়া।
কয়েক আসমানের কাঁন্না শুকিয়ে যাবার মত -ফেঁটে চৌচির আমার হৃদয়মম তোমার অভাবে।
সকল গ্রহের মহাশূন্যের মত বিশাল শূন্য হয়ে খুব খুব হাহাকার করছি।
কবরের আজাবের মত ক্ষত বিক্ষত ও চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছি তোমার ভালোবাসার জন্য।
তুমি হীন স্বপ্নগুলো ধ্বংস হচ্ছে ধরণী ধ্বংসের ন্যায়। তোমাকে নিয়ে বারংবার ভাবছি অবিনশ্বর নামাজ রত সেজদায়।
কয়েক জনমের অন্ধকার আমাকে গ্রাস করছে তুমিহীন আলোহীনতায়।
ফিরে এসো শ্রাবণী, ফিরে এসো চুকিয়ে হিসেব যত,
আমার কাছে ফিরে এসো পবিত্র স্থান আরশে আজিমের মত।
■অপেক্ষার পেন্ডুলাম