টানা চার বছর তিন মাস পুষে বড়ো করার পর কুরবানীর হাটে উঠানোর হয় কালাপাহার নামের ষাঁড়টাকে।
ওটা নামে গরু ছিল বটে কিন্তু রমজান মিয়ার ছেলে থেকেও শিকি পরিমান কম ছিল না।
এতদিন এতো বড়ো করতে ঋণের বোঝায় জর্জরিত পরিবারটির মাথা গুজার একমাত্র ঘরটির ছাদেও খড় নেই।
কেবল গরুটি মোটাতাজা হয়েছে, সেই সাথে সে যেন সবাইকে হাড্ডিসার করেছে চুষে খেয়ে।
একমাত্র মেয়ে বিউটির বুকের সব ক'খানা হাড় গুণা যায়।
ঈদের তিনদিন আগে বিক্রি হয় কালাপাহার। সেদিনই ঘটক এসে বিয়ে ঠিক করে যায় বিউটির।
ঈদের দিন শুনা যায় রমজান তার কালাপাহার বিক্রির সমস্ত টাকা দিয়ে যৌতুক হিসেবে বিউটিকে তুলে দেয় আবুল ব্যাপারীর হাতে। যারফলে রমজানের আর কুরবানীর প্রয়োজন হয় নিয়ে আজ। ঈদের একদিন আগেই সফল কুরবানী কবুল হয়ে গেছে তার।
১৮-০৭-২২ /নারায়ণগঞ্জ