আমার বুকের বারো জোড়া বাতার নীচে একটা লাশকাটা ডোমঘর। ডোম ঘর একটা হলেও সেখানে ডোম অনেক। নির্ঘাত জানোয়ার কাটা কসাই একেকটা।দয়ামায়া নেই। নির্দয় জালিম সব।
আমি ছাড়া কোন বেওয়ারিশ লাশ এ পর্যন্ত নেই ওখানে।
কবি স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী'রমতো চারটা লাশ নয়, একটাই লাশ; হ্যাঁ একটাই-তাও একা আমার'ই!
যদিও কবি চারবার মেরেছে...
প্রথমবার-অবহেলায়
দ্বিতীয়বার- প্রতিশ্রুতির অকাল মৃত্যুতে
তৃতীয়বার- বিশ্বঘাতকতায় খুন
আর শেষ বার- স্বেচ্ছায়।
কিন্তু, আমি! আমি প্রথমবারই শেষ মরা মরেছি; কারণ মানুষের মৃত্যু বারবার হয় না। প্রথমবারই সে হাজারবারের চেয়েও বেশি মরে।
কবি স্বপ্নীল'র চারটা লাশের ময়নাতদন্ত না হলেও
আমার একটা লাশের ময়নাতদন্ত চলছে গেল ছাব্বিশটা বছর ধরে!
সেই পচা গলা লাশের এখনো কোন রিপোর্ট দাখিল হয়নি। জানি, হলেও কিছুই মিলবে না কাউকে ফাঁসানোর জন্য। কারণ আমার শরীর , হৃদয় বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের আপাদমস্তক যে পাশবিকতা, অত্যাচার, অনিয়ম, বর্বরতা, অবিচার, অসমাজিকতা, অপসংস্কৃতিতে অবরুদ্ধ তা কোন ময়নাতদন্তে ধরা পড়বে না; কোন কালেই না। কোন সি আই ডি বা পিবিআইও না।
সেই ক্ষমতাধর মেশিন এখন আবিষ্কার হয় নি আর হবেও না এই অন্ধ শহরে।
কিন্তু গেল ছাব্বিশ বছর ধরে আমার লাশটার মৃত্যু যে অস্বাভাবিক তা মোটেও অনস্বীকার্য নয়। কোন সন্দেহ নেই যে আমি খুন হয়েছি বোবা গণতন্ত্রের নিঃশ্চুপ বুলেটের লণ্ডভণ্ড আঘাতে।
■ রবিউল ইসলাম রাব্বি
[২২-০৫-২০২১ নারায়ণগঞ্জ]
কৃতজ্ঞতা : কবিভাই Mashud Parvez