শার্টের বোতাম টা অনেক পুরাতন হয়ে গেছে।
আগে ঘন ঘন পাল্টাতে হতো। দক্ষ শল্য বিদের
মতো সে, মানে নীলা, আমি ঐ নামেই ডাকতাম
তাকে,প্রতিবার বদলে দিত।

  
নতজানু হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
ভাবি, এই মাটিও অনেক পুরাতন। আগে এখানে
গোলাপ ফুটত নিয়মিত,লাল, সাদা, গোলাপি।এখন
এখানে চাষবাস হয় না, শুকনো খড়খড়ে,প্রাণহীন।


রাস্তা দিয়ে হেটে যাই, কেউ চিনতে পারে না
আমাকে।আমার গায়ে সেই শার্ট, সেই বোতাম
গুলই আছে,পুরনো হলেও চেনা যায়। তবুও চেনে
না লোকে। ইচ্ছে হয় কেউ একজন কে ডেকে বলি,
“এই হলাম আমি, দেখো চিনতে পেরেছ?অনেকদিন
পর ফিরেছি, নীলার কাছে যাবো,কেমন আছে সে?
এই পথ টা তো ওদের বাড়ির দিকেই গেছে,অন্তত
আমি যখন চলে যাই তখন এই পথেই ওদের বাড়ি
যেতে হতো মনে আছে”।মানুষের মিছিল দ্রুততর হয়।
নাকি আমিই হাঁটছি দ্রুত উল্টো পথে?


সিগারেটে আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে ভাবি,এবার নীলার
সাথে দেখা হলে নিজের হাতেই ছিঁড়বো পুরনো সেলাই
বোতামের। নীলার নরম পেলব হাতে বুনে নিব নতুন
বোতামের গাঁটছড়া।অন্যদের মতো ওরও যদি কষ্ট হয়,
আমাকে চিনতে,তবে আমি কিছুই বলবো না। আমার
উৎকণ্ঠিত চোখ আড়াল করে,কণ্ঠ থেকে অক্ষম বাসনার
চিৎকার মুছে দিয়ে আমি আবার নামবো পথে।  

হাসপাতাল রোড, জয়দেবপুর।।
২১/০১/২০১৫।