স্টেশনের ওয়েটিং রুমের দরজা দিয়ে বেরুতে গিয়ে লাল
সবুজের মিশেল রঙের কাপড়,ঠিক আমার কবিতার মতো,
ঈষৎ রক্তাভ ঠোঁট,
মাতাল চোখ,
মিষ্টি একটা গন্ধ।
আমার পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্বদেশী ও বিদেশি
সকল উপমা ও চিত্রকল্পকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে, ঠিক আমার
পাশ ঘেঁষে বেড়িয়ে যাওয়ার সময়,চমৎকার লাগলো।
আর একটু খুলে বলি।
এখানে, এই ওয়েটিং রুমে আমি চার বছর আছি।উল্লেখযোগ্য
কোন কারন নেই।নিজের বাড়িতে মাকড়শার জাল, ধুলোবালি,
ইঁদুর আর আরশোলাদের বাড়াবাড়ি, তাই এখানে এই রেল
স্টেশনের ওয়েটিং রুমে গোপনে বসবাস।সারাদিন রঙ পাল্টে
যাত্রী সেজে আসা যাওয়া,রাতে ঘুম।গেল চার বছর এভাবেই দিন
রাত্রির যাতায়াত।এখান থেকে আমি কোথাও যাইনি।একজনের সাথে
আমার যাওয়ার কথা ছিল,খুব তাড়া ছিল আমার তার সাথে যাওয়ার।
আমি আসার আধ ঘণ্টা আগেই সে চলে গিয়েছিল অন্য ট্রেনে। বন্ধুরা
বলেছিল, ভুল ট্রেন,সামনের স্টেশনে নেমে চলে আসবে।সেই থেকে আজ
চার বছর আমি এখানে, এই ওয়েটিং রুমে,যাত্রীদের আসা যাওয়ার সাক্ষী।
তারপর আজ এখানে এই ওয়েটিং রুমের দরজা দিয়ে বেরুতে গিয়ে লাল
সবুজের মিশেল রঙের কাপড়,ঠিক আমার কবিতার মতো,
ঈষৎ রক্তাভ ঠোঁট,
মাতাল চোখ,
মিষ্টি একটা গন্ধ।
আমার পাশ ঘেঁষে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় স্বদেশী ও বিদেশি সকল
উপমা ও চিত্রকল্পকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে, ঠিক আমার পাশ ঘেঁষে
বেড়িয়ে যাওয়ার সময়, চার বছর পর,চমৎকার লাগলো।
হাসপাতাল রোড, জয়দেবপুর।।
১৭/০১/২০১৫।।