তীব্র দুঃখকে আনন্দের পাশাপাশি হাঁটতে দেখে
মাঝেমাঝে আমি বিস্মিত হই। তোমার দাক্ষিন্য
পেলে আনন্দ চারপাশে ছোটাছুটি করে,ভীত হই
পাশাপাশি দুঃখের সহাবস্থানে। তবু নির্লজ্জের মতো
মাথা কুটে যাই,দাক্ষিণ্য চাই বলে করি অহরাত্রি চিৎকার।
আমার জন্ম হয়েছিল এক বিষণ্ণ রাতে, পৃথিবীর প্রবল
আকর্ষণেই হয়েছিলাম গর্ভহারা।আনন্দ যন্ত্রণায় কাতর
আমার গর্ভধারিণী হাস্যজ্জল মুখে শুয়ে ছিলেন বিছানায়।
গলা ফাটিয়ে, হাত পা ছুড়ে আমি জানিয়েছিলাম আমার
আগমন সংবাদ...গল্প গুলো অন্যের কাছে শোনা।সে আমি
এখনও গলা ফাটিয়ে, হাত পা ছুড়ে করি চিৎকার,দাক্ষিন্যের
আশায়। কতদিন থাকবে এই চিৎকারের প্রাবল্য, আমার
আনন্দ তৃষ্ণা?আমি জানি না। প্রান ক্ষণস্থায়ী,জীবনের বাহুল্যও
ক্ষণস্থায়ী, প্রাবল্য ঢিমে হয়ে আসে সময়ের সাথে সাথে।
কবে থেমে যাবে তবে আনন্দ তৃষ্ণা? এখনো আছে জানি।
যতক্ষণ আছে ,থাক।চৈত্রের খরা শুরু হলে বৃষ্টি খুজনা যেন।