একান্ত অগোচরে ফুটিয়া উঠা ফুল কিছু বুঝিয়া উঠার
আগেই ঝরিয়া গেল।আলো জল হাওয়ার কমতি পড়িয়া
ছিল কিনা তাহাও জানিতে পারি নাই।যখন বুকের ভিতরে
হাহাকার উঠিল,তখন বুঝিয়াছিলাম কিছু একটা ঘটিয়াছে,
কিন্তু বোধগম্য হইতেছিল না কি ঘটিয়াছে। অন্ধের মতো
শহরস্থ অলিতে গলিতে শুরু হইলো খোঁজাখুঁজি। অবশেষে
খুঁজিয়া পাইলাম ঝরা ফুল। অন্য কাহারও কিংবা কাহাদেরও
পদপৃষ্ঠে দলিত মথিত হইয়া মাটিতে পড়িয়া আছে।
দৃশ্য টা বড়ই নির্মম সন্দেহ নাই,এই রূপ দৃশ্য কদাচ চোখে
পড়িয়াছে কিনা মনে পড়িতেছে না,এই অবস্থার মুখোমুখি
হইবার আগে বুকের ভিতরে হাহাকার ছিল,এতদক্ষনে উহা
ব্যাথায় রুপান্তরিত হইলো।ভালবাসিয়া একান্ত গোপনে যে ফুল
অতিব যত্নে ফুটাইয়াছিলাম তাহার এই নির্মম দশা মন কে ব্যাথিত
করিবে ইহা আর নতুন কি।শয্যাপাশে, স্নান ঘরে বহুবার বাহুমদ্ধস্থিত
হইয়া কাটানো প্রিয়তম ফুল দলিত মথিত হইয়া ভূলুণ্ঠিত,চক্ষু
মদ্ধস্থিত জল ঝরিয়া পড়িতে চায়,আপাত কঠোর হইয়া দমন করিলাম।
ফিরিয়া আসিব মনস্থির করিয়া পিছন ফিরিলাম।
এইখানে গল্পটা শেষ হইতে পারিতো,উহাই ভালো হইত বোধহয়।
হইলো না,দুর্ভাগার গল্প মরিবার পরেও কিছু অবশিষ্ট থাকিয়া যায়।
ফিরিয়া আসার কালে ভূলুণ্ঠিত ফুল আস্তিন টানিয়া ধরিল। বুকের
ভিতরে ব্যাথাটা তীব্র আকার ধারন করিল।সেই হইতে ডাক্তার বদ্যি
করিয়া জীবন কাটিতেছে।ইহাকেই বুঝি পণ্ডিতগণ ভালোবাসা নাম দিয়াছেন।