ভালবাসার অর্ঘ্য দিয়ে কেনা আমার এই ছোট
ঘড়, হঠাৎ ঝড়ে আমুল আছড়ে পড়েছে।ঘড়ের
কড়িকাঠ, দরজা জানালা লণ্ডভণ্ড, মাটির আশ্রয়ে।
বাসযোগ্য নয় এখন মানুষের, ইদুর আর আরশোলারা
বসিয়েছে মেলা।ওখানে এখন শিকার আর শিকারি।
রুপান্তরে পোড়ে প্রজাপতির ডানা,চোখের সামনে
রুপান্তরের আলিঙ্গনে বন্দি আমার ভালবাসার ঘড়,
আনিন্দ সুন্দর শুভ্র দেয়ালে অবৈধ রক্তের দাগ,প্রান
নেই, তবু যেন নিরন্তর হোলি খেলা প্রাণহীনের।
আমি কেবল আমিই, উপহাসযোগ্য,করুনার পাত্র।
ধুলার ভেতরে জীবনের গান আছে কি নেই খুজতে
যাইনি,প্রবল ঝড়ের উত্তাল বাতাস উড়িয়েছে আমাকে,
হয়তো ছিল ক্ষণস্থায়ী-ভেঙ্গেছে সব স্থাবর অস্থাবর।
আমার বোধের আড়ালে প্রেম অথবা তার চেয়ে বেশি
কিছু, তাণ্ডব নৃত্যের কাছে পরাজিত সাধা কণ্ঠের গান।
ফিরতে চেয়েছিলাম, পেছন থেকে টেনে ধরেছিল
ঘড় নয়,প্রদেয় মূল্য।এসব বলে কোন লাভ নেই
জানি, আগের বাশরিয়া এখন জীবন্ত কঙ্কাল।বুনো
বৃষ্টির উদ্দাম স্রোতে পায়ের তলায় ভিজে মাটি।স্বপ্ন নেই
প্রত্যাশা নেই,পেছনে শুধুই ফেলে আসা ভালোবাসা।