বন্দি করতে চেয়েছিলাম হৃদয়ে,
ব্যার্থতার ষোলকলা পুরন হতেই
দেখলাম বন্দি তুমি,আমার কবিতার
খাতায়।কচি দূর্বাদলের মতো পরিপাটি
করে সাজানো গোছানো প্রতিটি
পাতা। আমার সমস্ত ভাবনা, আমার
উপলব্ধি-তোমার সমগ্র অস্তিত্ব কে
স্পর্শ করে,প্রানের গভীর থেকে বের
করে আনে শব্দের গাঁথুনি একের পর এক,
শুধু অনুচ্চারিত থাকে ভালোবাসা।
যদিও শব্দ টিকে ক্রমাগত উচ্চারন
করতে চাই,মোহন মন্ত্রের মতো।
তোমার গহিনে কার বসবাস?
ভেতরে একটা আকাশ আছে জানি,
সচরাচর রঙ্গে। ওখানে পেজা পেজা
মেঘেরা উড়ে বেড়ায়। মুক্ত আকাশ
ভেবেই উড়িয়েছিলাম ঘুড়ি,ভেবেছিলাম
আমার প্রত্যাশায় তুমি এমন এক নারী
যে কিনা রয়ে গেছ যে কোন শিল্পির
তুলির আঁচরের বাইরে।এখন আমার
বুকের ভেতর এক যন্ত্রণাময় আকাশ।
স্মৃতি নেই কোন একান্ত নিজস্ব
ভালোবাসা টুকু ছাড়া। জোড়াতালি
দিয়ে সেটুকু নিয়েই কবিতার চাষবাস।
সমুদ্রের ভালোবাসায় নির্মিত হে কন্যে,
চায়ের টেবিলের এক কোনে রেখে দিও
অব্যাক্ত ভালোবাসায় নির্মিত আমার
প্রিয় কবিতার খাতা খানি সামান্য মমতায়।
এতদিন চোখেই পড়েনি সপ্তবর্ণ চুরি করে
রাঙ্গিয়েছ নিজেকে।বর্ণন্ধ নই যদিও তথাপিও
ছিল চোখের আড়ালে তোমার রংধনু রূপ।মৃত্যু
এসে শিয়রে দাঁড়ালো এরপর,স্থির হলো দৃষ্টি।
পলকহীন শুধুই তাকিয়ে থাকা রংধনুর দিকে।