আলোচনা সভার এ আসরে আমার আগের একটা লেখায়ও আমি বলেছিলাম, আজও বলছি, "বাংলা কবিতা ডট কম” এর আন্তর্জালিক ঠিকানার সন্ধান আমি সর্বপ্রথমে পেয়েছিলাম কোলকাতার কবি রুমা চৌধুরীর কাছে। আমরা উভয়ে একটা ইংরেজী কবিতার আন্তর্জালিক আসরে কবিতা লিখতাম, সেই সূত্রেই তার সাথে পরিচয়। তিনি একদিন আমাকে জানালেন যে এখানে, অর্থাৎ "বাংলা কবিতা ডট কম” এ তিনি বাংলায়ও কবিতা লেখেন। তাঁর উৎসাহ পেয়ে আমি ২৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে এ আসরে আমার প্রথম কবিতা “জীবনের ঋণ” প্রকাশ করি। তারপর থেকে কখনো কখনো হ্রস্ব বিরতিসহ প্রায় নিয়মিতভাবেই এখানে কবিতা লিখে চলেছি।
দেখতে দেখতে প্রায় আড়াই বছর হতে চললো, এভাবেই প্রকাশিত কবিতার সংখ্যাটা গড়িয়ে গড়িয়ে আজ পাঁচ শততম এর মাইলফলকটা স্পর্শ করে গেল। জানি, এটা নিছক একটা সংখ্যা বৈ আর কিছু নয়, তবুও অর্ধ সহস্রের এ মাইলফলকটা স্পর্শ করতে পারায় আমি আনন্দিত এবং এজন্য স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শুনতে পাঁচশত বেশ বড় মনে হলেও, গুনতে গেলে এর মধ্যে অবশ্য কবিতার সংখ্যা কম, অকবিতাই বেশী পাওয়া যাবে বলে সন্দেহ হয়। তবুও আমার এই অকিঞ্চিৎকর প্রয়াসকে অনেক উদার পাঠক দ্বিধাহীনভাবে উৎসাহিত করে গেছেন, আমাকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন আমার লেখাগুলো নিয়মিতভাবে পাঠ করে এবং সেখানে ভালোমন্দ মন্তব্য করে। এখানে প্রবেশের পর এপার ওপার উভয় বাঙলার নানা বয়সের কিছু ভালো বন্ধুর সাহচর্য পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি। আমার কবিতায় তাদের বিদগ্ধ ও পরিশীলিত মন্তব্যে যথেষ্ট উপকৃত ও উৎসাহিত হয়েছি। আমিও সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের এবং আসরের নবীন কবিদের কবিতা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য ও আলোচনা করতে। নাম নিতে গেলে স্মৃতিভ্রমের কারণে বিড়ম্বনা হতে পারে, তাই বিশেষ কারো নাম না নিয়েই আপনাদের সবাইকে অন্তর থেকে শুভকামনা জানিয়ে আমার আজকের কবিতাটা পড়ার এবং কিছু বলতে চাইলে এতদসংক্রান্ত আলোচনা করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
কবিতাটির লিঙ্কঃ http://www.bangla-kobita.com/ka13/post20160928072315/