গত ০৪-১০-২০১৪ তারিখে 'উৎসবে আনন্দে শেকড় সন্ধানী বাঙালীর সহমর্মিতা' শিরোনামে একটা আলোচনামূলক লেখা এ আসরের 'আলোচনা সভা'য় প্রকাশ করি। ঐ আলোচনাটাতে কবি অজিতেশ নাগ ও কবি শহীদুল হক দুটো সংক্ষিপ্ত মন্তব্যও করেছিলেন। এর এক কি দুদিন পর আমি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই মর্মে একটা বার্তা পাইঃ এই ওয়েবসাইটটি শুধুমাত্র কবি ও কবিতা কেন্দ্রিক। তাই আলোচনা সভায় প্রকাশিত লেখাও অবশ্যই কবি কিংবা কবিতার সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় আপনার একটি লেখা আলোচনা সভা থেকে ব্যান করা হয়েছে।
আসলেই আমার আলোচনাটা মোটেই 'শুধুমাত্র কবি ও কবিতা কেন্দ্রিক' ছিল না। শিরোনাম দেখেই বোঝা যায় যে আলোচনাটা কোন কবি কিংবা কবিতা বিষয়ক ছিল না, তবে তা বাঙালীর একটা ইতিবাচক গুণ সম্পর্কে ছিল, যা আমি বাঙালী কবি পাঠকদের জানাতে চেয়েছিলাম, যেন তারা বিষয়টি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কবিতা লিখতে বা আলোচনা করতে পারেন। এরকম যে একটা নীতিমালা বিদ্যমান আছে বা ছিল, সেটাও আমার জানা অথবা স্মরণে ছিলনা। তাই প্রায় সাথে সাথেই আমি কর্তৃপক্ষকে সেটা মেনে নেয়ার কথা জানাই এবং ব্যাপারটা খেয়াল না করার কারণেই ঘটেছে বলে জানাই ও তাদের ধন্যবাদ দেই এই কারণে যে তারা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।
আমার লেখাটি অপসারিত হবার বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নেই, কোন বক্তব্যও থাকতে পারেনা, কেননা তা সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে করা হয়েছে। তবে আমার তীব্র আপত্তি আছে 'ব্যান' শব্দটি নিয়ে। অভিধানে দেখলাম, ইংরেজী Ban শব্দটার অর্থ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। সাধারণতঃ যেসব লেখা কারো ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক বা জাতিগত অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে কিংবা সমাজে বিশৃঙ্খ্লা সৃৃ্ষ্টি করতে পারে, কিংবা যেসব লেখা অশ্লীল, সেসব লেখাকেই কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ব্যান বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে থাকে। আমার লেখাটি সেদিক থেকে বড়ই নিরীহ ছিল। সেখানে নেতিবাচক কোন কথাই ছিল না। তাই সেটাকে 'ব্যান' করা হয়েছে না বলে 'অপসারিত' করা হয়েছে বলাই যুক্তিযুক্ত হতো।
এখানে আমরা সবাই কবি। অন্যের প্রতি লিখিত ভাষা ব্যবহারে আমাদের মার্জিত ও পরিশীলিত ভাষা ব্যবহার করা উচিত। একটা সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে লেখাকে 'ব্যান' করা হয়েছে না বলে 'নীতিমালা বিরোধী হওয়ার কারণে অপসারিত করা হয়েছে' বললে সেটা আরও কবিসুলভ হতো বলে আমি মনে করি।
আশাকরি এ্যডমিন এ ব্যাপারে তার বক্তব্য রাখবেন এবং পাঠকগণও তাদের মতামত জানিয়ে এ ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করবেন।