শত শত মায়ের বুক খালি হয়ে গেল, মাত্র একটি সপ্তাহের ব্যবধানে;  
প্রতিবাদী নিরস্ত্র ছাত্রদের সন্ত্রস্ত করে দেবার জন্যই ছিল এ আয়োজন।  
বাংলার নিষ্পেষিত, জুলুমে জর্জরিত বাকহারা জনতাকে ভয়ে, ত্রাসে  
একেবারে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য।
এমন নীল নকশার হত্যাযজ্ঞ আর কখনোও ঘটেনি এ বাংলার বুকে,
এতটা নির্মমভাবে। ইতিহাস সাক্ষী, এর আগে কখনোই তা ঘটেনি!    

যারা আজ অকালে ঝরে গেল, তারা অচেনা, অকুতোভয় বীর।
তাদের রক্তভেজা মাটিতে তরতর করে দাঁড়িয়ে গেল তাদের মন্ত্রমুগ্ধ    
শত সহস্র নাম না জানা, ভয় জয় করা তরুণ, উদ্দীপ্ত প্রাণ।  
তাদের গর্জে ওঠা প্রতিবাদী মিছিলে মুখরিত হতে থাকলো  
বাংলার আকাশ বাতাস, পথঘাট আর শত জনতার বিক্ষুব্ধ হৃদয়।    
এপিসি, এসএমজি আর হেলিকপ্টার থামাতে পারলো না সে নিনাদ।  

এ কণ্ঠস্বর কতদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে,  
তা মোটেই বুঝতে পারলো না ক্ষমতাসীন অবৈধ, অনড় শাসকচক্র।  
যে পথ ধরে তরুণরা এসেছিল, বিজয় অর্জনের পর হয়তো সে পথেই  
একদিন ওরা ফিরে যাবে পড়ার টেবিলে। তবে যাবার আগে নিশ্চয়  
দেশবাসীর জন্য ওরা রেখে যাবে এক অনুকরণীয় দীক্ষা ও দৃষ্টান্ত,  
যার বলে বলীয়ান হয়ে স্বৈরাচারের নিপীড়ক হাত ভেঙে দেয়া যায়।      

মৃত্যুহীন বীরের কবরে আজ নাচছে দ্রোহের নবস্ফূটিত চারাগাছ।  
এ চারাগাছ মহীরুহ হয়ে রয়ে যাবে, উত্তরসূরীদের জন্য প্রেরণা হয়ে।  


২৯ জুলাই ২০২৪