কোন সমাধিক্ষেত্রে গেলে,
সেখানকার সমাধিলিপিগুলো একে একে পড়া
আমার পুরনো অভ্যাস। ইংরেজরা ভালবেসে
একে ‘এপিটাফ’ বলে, কত না গালভরা নাম!
ভাল লাগে এপিটাফের কথা পড়তে, কারণ-
সেসব কথায় অনেক ভালবাসার ছোঁয়া থাকে।
মাঝে মাঝে ভাবি, আমার নিজের মত করে
একটি ছোট্ট এপিটাফ নিজেই লিখে রাখবো।
কিন্তু লিখতে পারি না, কারণ শব্দরা সবাই
প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। ওরা একযোগে
বলে, তোমার এপিটাফ তোমার মত করে
কেউ কোনদিন পড়বে না! তার চেয়ে...
তুমি আমাদের মুক্ত করে দাও, আমাদের
কোন পাথরের গায়ে তুমি বেঁধে রেখো না!
আমরা মহাশূন্যে ভেসে যাবো, আমরা
আয়নমন্ডলের স্তরে স্তরে তোমার কথা,
তোমার কবিতার কথা বলে বেড়াবো।
এই বলে তারা একত্রে যূথিকামালার মত
জোটবদ্ধ হয়ে উড়ে যায় শুভ্রনীল আকাশে,
এক অদৃশ্য যাদুকরের উড়ন্ত গালিচায় বসে।
আর আমি বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে বসে থাকি
একটা সাদা কাগজ হাতে নিয়ে,
নীরব, বিবর্ণ অপাঠযোগ্য শিলালিপির মত।
ঢাকা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০