হেমন্তের দিনগুলো খুব দ্রুত চলে যায়
দুপুর থেকে বিকেলকে পৃথক করা দায়।
সকালটা হেলায় বেশ দেরিতে শুরু হয়,
কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশটা মন উদাস করে দেয়।  

সূর্যটা দক্ষিণে না আসা পর্যন্ত কুয়াশা কাটে না
কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত পাখিরা হাসে না।
বহুতল ভবনের ছাদে বসে ওরা সূর্য-স্নান করে,
কখনো সভা ডেকে জরুরি আলাপ সারে।  

ফুলের বাগানগুলো উজ্জ্বল রঙে সজ্জিত হয়,  
সূর্যমুখি, ডালিয়া, হলিহক, জিনিয়ার শোভায়।  
নবান্নে কিষাণীরা খুশিতে পিঠা পায়েস বানায়,
নতুন নতুন শাক-সব্জী রসুইঘরে ঠাঁই পায়।  

হেমন্তের এমনই এক দিনে এসেছিলাম এ ধরায়
সায়াহ্নের ঠিক আগে, অঘ্রাণের শেষ মাথায়।
তাই বুঝি হেমন্ত আমাকে এত নাড়া দিয়ে যায়,
ক্ষণস্থায়ী এ ঋতু তাই মনে মায়ার জাল ছড়ায়।


ঢাকা
২২ ডিসেম্বর ২০২২
(উত্তর গোলার্ধের হ্রস্বতম দিন, দক্ষিণায়ন)