স্নেহাস্পদেষু নাদিন আবদেল তাইফ,
তুমি যেমন জানো না,
এখন কী করতে হবে, কী করা যায়,
আমিও তেমন জানি না, আমিও বুঝতে পারি না,
এখন তোমার আমার কী করতে হবে, কী করা যায়,
এ পরিস্থিতিতে তোমাকে কী বলা যায়!
তুমি দশ বছরের শিশু, তুমি বলেছো "এটা ন্যায্য নয়"।
মানব সেবার ব্রত নিয়ে তোমার ডাক্তার হবার সাধ,
ওদের চোখে এসব অপরাধ!
ওরা চায় তোমাদের সবাইকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে,
তোমার মত আরও শিশুসহ সবাইকে, একসাথে,
যেন তোমরা আর কখনো ন্যায্যতা দাবী না করতে পারো!
আজ তোমার মন যে আতঙ্কে কাঁপছে,
সে আতঙ্ক ওদের মনেও ছড়িয়ে যাচ্ছে,
ওরা দেশ ছাড়তে শুরু করেছে।
মাটির সাথে মিশে গেলেও তোমরা আবার একদিন জেগে উঠবে,
ফিনিক্স পাখির মত; তোমাদের আতঙ্ক থেকে ওদের নিস্তার নেই!
'এটা ন্যায্য নয়', তবে যেটা ন্যায্য, সেটা আসতে আর দেরি নেই।
ঢাকা
১৯ অক্টোবর ২০২৩
ধ্বংসযজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত চোখ আর আতঙ্কগ্রস্ত কণ্ঠে বর্ণিত গাযার দশ বছরের শিশু নাদিন আবদেল তাইফ (Nadine Abdel-Taif) এর মত পরিস্থিতি আমার আপনার স্নেহাষ্পদ পুত্র-কন্যা, নাতি-নাতনির জীবনে ঘটছে, এমন চিত্র কল্পনা করা যায় কি? আমার তো নীচের লিঙ্কে দেয়া সাক্ষাৎকারটি শোনার পর থেকে কেবল দুটো কথাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছেঃ I don’t even know what to do এবং It's not fair, It's not fair!
https://www.facebook.com/watch/?v=3408223869277852।
লিঙ্কটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।