(১)

হাওয়ার মতই ছুটছি জোরে,খুন হওয়া কাতিল চোখে,
শুনশান এই বসন্ত দিন,তোমায় ছাড়া কিচ্ছুটি চাইনি'ক যৌতুকে।।

ভীষণ ভয়ে দূরে'ই থাকা,অফিস ফেরত বিকেল,
এমনি কি আর আকাশ দেখা?চোখ ঠিক চলে যায় তোমার দিকে!

বান্ধবীদের রুমাল হয়েই,ঠোঁট ছোঁয়া ,ওই লিবিষ্টিক,
তোমার মনের আফ্রিকাতেই,আমি অফিস ফেরৎ জন হেনরি।।

আলসেমি দিন,ঘুম ঘরোই, জাপটে ধরে পিলো,
আমার প্রেমের ইস্তাফাতেই,রাস্তা জমাট লোক।।

এই ধরে নাও,আপন মনে'ই ,ভাবছি না ,আর ভাব্বনা ঠিক,
প্রতিটি আবিষ্কারেই ,চুপ হয়ে যায় যেমন সক্রেটিক।।

(২)

এবার বসন্ত,ভীষণ ক্লান্ত হাওয়া,
শীতের সকাল হঠাৎ যেন আলো,
শ্রাবণচোখে মেঘের মতই যেন,
হঠাৎ বৃষ্টি রোদের থেকেও ভালো।।

চুপ হয়ে যাওয়া উঠোন বাবুই পাখির দল,
সন্ধে হতেই তুলশী-প্রদীপ দূরের মফঃস্বল,
মনের ভিতর রং-বসন্ত ছাপ
হঠাৎ ছেড়ে যাওয়াই গুনছে এখন হিসাব।।

সেবার ছিল,অনেক ফুলের তোড়া,
অনেক মানুষ ,অনেক ভীষণ চেনামুখ,
ক্লাসের ফাঁকেই  আমার বেণীমাধব পড়া,
তোমার থেকেও মারণ এমন কোন সে অসুখ?

এই ধরে নাও বছর পনেরো পর,
হাল্কা শীতে বাড়ছে যেমন জ্বর ,
ভিড়ের মাঝে ভিড় একটুও নেই
দুজন হাঁটছি দশ হাত দূরে শেষট্রেনেই।।

(৩)

অপেক্ষারা আনকোরা আজ,পোড়া মন্দির হৃদয়বাড়ি,
একটা জীবন এমনই কাটে, ছোট্ট ভুলে'ই ভীষণ আড়ি।।

ভীষণ অসুখ বুকের ভিতর,চুমুতে'ই কি আর জ্বর সারে?
একটা মেঘের হাতছানি-মন,বৃষ্টি মুখর আষাঢ়ে।।

এখন'ত এই ভিড়ের মাঝেই,রোজ খোঁজা সেই বান্ধবীকে,
পাহাড় কেটে মন্দির যেমন,আফ্রিকা ভুলে যায়নি হেনরি'কে।।

এই ধরে নাও ,হঠাৎ যদি জন্ম নিলাম কয়েক শতাব্দী পরও,
হয়তো হবেই দেখা,তবুও বলবে না  "প্লিজ হাতটি ধরো"।।

আমরা যারা প্রেমিক ভীষণ,আমরা যারা দুরে'ই থাকি,
প্রতিটি আঘাত আদর ভেবেই,বৃক্ষরোপনে সাজাই নাগাসাকি।।

(8)

আসলে
  আমরা যারা পাগল এমন,সব সময়ই তারা প্রেমিক'ই থাকে,
কেউ কোনো দিন জানে না ,জানবেও না মনের এই প্রেমিকাকে।।

ভিতর পুষে রাখা,ভীষণ যত্নে ,মাঝে শুধুই সুতোর সাঁকো,
প্রেমিক যারা প্রেমিক শুধু ,প্রাক্তন কোনোদিন হয়নাকো।।