বলেছিলে ফিরে আসবে
এই বৈশাখেই।
তারপর নদী দিয়ে
বয়ে গেছে কত জল।
নদীটাও প্রায় শুকিয়ে গেছে।
যে কদম গাছটার চারা পুঁতেছিলে
আমার মাথা ছাড়িয়েছে সে কবেই।
বাড়ির সামনে যে খোলা
মাঠটা ছিল
কংক্রিট গ্ৰাস করেছে
এখন আর দৃষ্টি
প্রসারিত হয় না।
অবশ্য দৃষ্টি ঝাপসা ও
হয়েছে খানিক।
কিন্তু সেই স্বপন স্যার
সেই বিতান সংঘের মাঠ,
দল বেঁধে রিহার্সাল
পঁচিশে বৈশাখ
স্পষ্ট দেখতে পাই।
সেবার হয়েছিল পূজারীনী।
তুমি শ্রীমতী।
"দ্বার হতে দ্বারে ফিরিল শ্রীমতী
লইয়া অর্ঘ্য থালি.."
সবার প্রশংসা যখন
তোমাকে ভরিয়ে দিচ্ছিল
তখনই তোমার মা খবরটা দিল।
বলেছিল তোমার বাবার বদলীর খবর।
কিন্তু তুমি কথা দিয়েছিলে
সামনের বছর ঠিক আসবে।
অনুষ্ঠানের পরদিন ছিল
ক্লাবের খাওয়া দাওয়া।
ঠিক হলো পরের বার
শাপমোচন।
না তুমি আসোনি।
আর কোনদিন।
স্বপন স্যার ও নেই।
ক্লাব ও উঠে গেল একদিন।
ক্লাবের মাঠ ও
গ্ৰাস হয়ে গেল কালের নিয়মে।
শাপ মোচন আর হলো কই।
আমার চুলেও পাক ধরেছে
হয়তো বা তোমার ও।
শুধু পঁচিশে বৈশাখ এলে..
রেডিওতে গান বাজছে
"সখী আঁধারে একেলা ঘরে
মন মানেনা..."