আমার অরণ্যদেব বাবা
সবসময় ছায়ার মত
আগলে রাখতো আমাকে।
রেজাল্ট খারাপে
সিগারেট খেতে গিয়ে ধরা পড়াতে
ঘুমের ঘোরে চাদর সরে গেলে
দাড়ি কাটতে প্রথম কেটে যেতে
প্রথম প্রেমে ধাক্বা খাওয়াতে
সবসময় যে হাতটা এগিয়ে আসত
সেটা বাবার।
সব সমস্যার মুশকিল আসান।
আমার অরণ্যদেব।
আমার বন্ধু।
এখন কেমন নিশ্চিন্তে
শুয়ে আছে
শ্মশানের চুল্লির
তিন নম্বর লাইনে
নিথর শরীরটার দিকে
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি
যেন এক্ষুনি বলে উঠবে
তুই দাঁড়া
দেখে আসি লাইনটা
এগোচ্ছেনা কেন।
আমিও বাবা হয়ছি এখন
আমিও চেষ্টা করি
বাবার মতন করেই
ছেলেকে আগলে রাখতে।
কত মুহুর্ত
কত স্মৃতি
ভিড় করছিল মনের কোনে
ছেলের ডাকে হঠাৎই
সম্বিত ফিরে পাই
সে বলে
চলনা বাপি,
অরণ্যদেবের মতন পিঠে
তুলে নাওনা দাদুকে,..
আমরা পালিয়ে যাই
এখান থেকে...
মুখের দিকে তাকাই
শক্ত করে চেপে ধরি হাত
আমার অরণ্যদেবের মতন।