কেন জল ফেলে ভিজিয়ে ও বুক
বলছ বিদায় বিদায় ফিরিয়ে ও মুখ
আমি কি চাই যেতে তোমারে একা রেখে
দিয়ে বুকে ব্যাথ্যা নিয়ে সাথে সুখ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতি তুচ্ছ সময়ে
মেতে ছিলাম আমরা প্রণয়ে
হৃদয়ে নি:শ্বাস ফেলে কত সুখ দু:খ গেছে চলে
শুধু ভাবতে বলতে বিদায় পারিনি বুঝতে।
চলেছি ক্লান্ত পায়ে পৃথিবীর পথ বায়ে
দুজনে হাতে রেখে হাত দিন বিদায়ে আসে রাত
রাত্রিতে চোখ বুজি স্বপ্নেতে খোজা খুজি
এই ভাবে গেছে দিন শুনি নি বিদায় বীন।
দিয়েছ উজাড় করে পেয়েছি মন ভরে
যত ছিল যা আছে তোমার আমার কাছে
কুড়ােতে সে দেওয়া নেওয়া ঝরেছে বেলা অবেলা
এই ভাবে চলেছি পথ করে ক্ষুদ্র বিদায় অবহেলা।
খেলেছি চুড়ু–ই ভাতি ক্ষুদ্র সে ঘর পাতি
আশায় আশায় থেকে শুধুই বড় কে পেতে
করেছি কত আয়োজন তুচ্ছকে দিয়ে বিষর্জন।
রুক্ষ দু:খ এসে জীবন দিয়েছে পিসে
নি:স্বাড়ে বুক পেতে দিয়েছি তাকে চলে যেতে
থেকেছি তবু হাত পেতে সেই পথে সুখ যদি আসে।
বিদায় কি থেমে ছিলো সে প্রতি ক্ষার মাঝে?
ফুলের গন্ধ এসে স্নিগ্ধ বাতাসে ভেসে
জোস্না রাত ভরে দিয়ে ছিলো যে সুখ
অতীত ভবিষ্যতের খসড়া গল্পে মেতে
তোমার মুখেতে চেয়ে ছিলাম আমি হয়ে মুক।
কত প্রাণ চির তরে বিদায় নিলো চুপি সারে
আমি ছিলাম শুধু তোমাকেই বুকে ধরে।
তিক্ত ব্যাথ্যা শোকে চেয়েছি বিদায় নিতে
অপমানে অভিমানে কখন এ দ্যূলোক থেকে
সেদিন তুমি পাশে বসে আবেগে মায়াবী হেসে
ভুলাই য়ে রেখে ছিলে মন বলে ছিলে এ
দূলক্ষূনে ভাষা লক্ষ্মীটি বলনা কখন।।
কত শত গল্প কবিতা লিখে পড়ে বই খাতা
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হিসাব কষে ভেবে চিন্তে বসে
জটিল অংক শেষে আরো জটিল পেতে
শত ব্যস্ততায় মেতে হয়েছি অতীত।।
তবু আনন্দে কাটছিল দিন
আজকে যাবার বেলা কেন সে তুচ্ছ টা করালে স্মরণ?
বুকে ব্যাথ্যা চোখে ক্রন্দন কেন করলে আজ এ আয়োজন?
চির বিদায় আনে মিলে তুচ্ছ তুচ্ছ ক্ষণে
বাজায়ও না বিদায় বীন আজ এমন দিনে।
নিভানো দ্বীপ কেন জ্বালো ভুলে ভুলেই ছিলাম ভালো।।