(১)


পরিকল্পনা সম্পূর্ন, মেডিসিন আর অস্ত্র হাতে
ডক্টর নার্স ,আর প্রিয় বাবা মা প্রস্তুত  মেরে ফেলতে -
মাতৃগর্ভে কেবল মাত্র শুরু হয়েছে নড়া - চড়া
এরই মধ্যে বিষাক্ত ঔষুধ দিচ্ছে নার্স ডক্টর-রা
বারবার মায়ের নাড়ি ধরতে গেছে আষ্টেপৃষ্টে
তিলে তিলে  হত্যা করা হলো নির্মম কষ্টে  ।
মায়েরা নাকি মায়াবী ,তবুও মায়া হলো না ?
কয়েকটা দিন গর্ভে থাকতে দিল না!


                        (২)

মায়ের গাফিলতি কিংবা ঈশ্বরের শক্তি
বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যে শিশুটিকে,
জন্মের পর চোখ না খুলতেই ঘন অন্ধকারে -
ফেলে আসা হলো জঙ্গলের এক ডাস্টবিনে,
শরীর জুড়ে আঁচড় দিলে শকুনে ।
কত টা সময় ধরে - উচ্চ স্বরে কেঁদেছে
সেই শুধু জানে - কতটা কষ্টের পর
শ্বাস বন্ধ হয়েছে ।

                         (৩)

যে মেয়েটি সবার ভালোবাসা পেয়ে
একটু বড় হলো  বয়স সাত - আট পেরিয়ে ,
খেলনা আর চকোলেটের লোভ দেখিয়ে -
পাশের বাড়ির কাকু বা দাদা
নোংরা হাতে স্পর্শ করে সারা গায়।

এইভাবেই কোনো একদিন
পিছু পিছু হাঁটতে থাকে বাচ্চা মেয়েটি ,
তার পর নির্জন জায়গা বা গাছের আড়ালে
শুরু হয়  মুখ হাত পা চেপে ধরে নিষ্ঠুর অত্যাচার ,
চোখের ঝরা রক্তে রাঙে পুতুলের মত ছোট্ট শরীরটি ।

কাপুরুষ পশু নিজেকে বাঁচাতে পাথর তুলে মারে ,
ছিন্ন ভিন্ন হয় দেহ , দেখিবার নেই কেহ  ।।

                        ( ৪)

হে নারী , মা হয়ে ওঠো  হও একটু মায়াবী
বাঁচাও গর্ভের শিশু ।
হে পুরুষ , মানুষ হয়ে ওঠো
বাঁচতে দাও শিশু কন্যা ।
হে নারী হে পুরুষ হে মানুষ
সমাজকে শিশুর উদ্যান গড়ে তোলো
চলতে দাও ,খেলতে দাও বাধাহীন ভাবে ।