প্রিয়তমা (অনেকেই তো প্রেমিকার শরীরের
সৌন্দ্যর্য নিয়ে কত কাব্য লিখে ,
কিন্তু আমি তাদের মত না
আমি তোমার গুণের করব বর্ননা
আমার এই কবিতায় ।)

ঢেউহীন সাগরের মতো শান্ত তুমি ,
গোধূলির আলোর সাথে হালকা বাতাস মিশে
যেমন স্নিগ্ধতা ছড়ায় ,
তুমি আমার মনের মধ্যে তেমনই স্নিগ্ধতা ছড়াও সর্বক্ষণ ।
এত নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর দুনিয়াতেও নিঃস্বার্থ ভাবে
তুমি আমায় ভালোবাসাতে ভরিয়ে রাখো
প্রেমের মহাসাগরে ডুবিয়ে রাখো ।

আশেপাশে এত ঠগবাজদের মাঝেও
প্রতি মুহূর্তে বদলাতে থাকা  হাজার মানুষের ভিড়েও
আজও একই রকম ভাবে আমাকেই আগলে রেখেছো।
যেমন ভাবে  
আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবতে থাকি
তোমার জায়গায় আমি থাকলে তোমার মতো
আগলে রাখতে পারতাম কি !
হয়তো পারতাম না ।

যতবার বাস্তবতার শক্ত মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছি
তুমি তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়েছো
যতবার ভেঙে পড়েছি ,কষ্ট পেয়েছি যাতনার বিষে
তুমি পাশে থেকে ভরসা দিয়েছো ।

মন খারাপ থাকলেই আমার পছন্দের খাবার
নিজে হাতে বানিয়ে খাইয়েছো একটু হাসতে দেখবে বলে
আমায় ।

সফলতার সিঁড়ি চড়তে গিয়ে যতবার ব্যর্থ হয়েছি
তুমি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে বলেছো, " তুমি পারবেই।"
কত ভালো ভালো প্রেমের প্রস্তাব বিয়ের প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করেছো শুধু আমার মত অতি সাধরণের জন্য।

জীবনের সব থেকে বড় আক্ষেপ ছিল আমার কোনো বন্ধু নেই ,তুমি সেই আক্ষেপ টাও দুর করেছো এক নিমিষেই ।
যাদের কাছে বদনাম ছিলাম , অবহেলা ও ঘৃণার পাত্র ছিলাম
যাদের সামনে আমার সম্মান বাড়াতে সাহায্য করেছো ।

বেখালী , অগোছালো , উন্মাদ, ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনাহীন
আমাকে বুঝিয়েছো জীবনের আসল অর্থ ।
প্রিয়তমা ,তুমি আমাকে ছেলে থেকে পুরুষ বানিয়ে দিয়েছো।

আমি খালি পকেটে , পুরাতন কম দামের পোশাকে
যখন যেভাবে কাছে গিয়েছি ,গ্রহণ করেছো আমাকে ।

রাতে ঘুম আসছে না বলা মাত্রই ঘণ্টার পর ঘণ্টা
কথা বলে গেছো নিজের ঘুম ও শরীরের পরোয়া না করে ।
জানো কত মানুষ আয়নার সামনে দাড়িয়ে কত কিছুর জন্য
গর্ব করে নিজের উপর নিজেকে দেখতে দেখতে ,
কতজন কষ্ট পায় নিজের বেহাল দশা দেখে
আমি আয়নার সামনে দাঁড়ালেই মুখে হাসি ফোটে
আমার জীবনে তোমার মত কেউ একজন আছে সেকারণে
গর্ব হয় ।

যে যুগে প্রেমিকাদের প্রতি এত অভিযোগ প্রেমিকদের
সে যুগে এসে তোমার প্রতি অভিযোগের কোনো সুযোগ পাইনি আমি ।
কতটা ভাগ্যবান আমি সেটা শুধু আমি জানি ,
রাত্রি বেলা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি,
সারাদিন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারি ,
কত প্রেমিক অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত থাকে দিবানিশি
তাদের প্রেম ও প্রেমিকা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই ।

তোমার সব থেকে বড় গুণ যেটা না বললে নয়
সেটা হলো , তুমি সত্য স্বীকার করতে পারো ,
সবাই পারে না গো , সবাই পারে না ।

বড্ড বাজে আমি, একটুতেই রেগে যাই, বকা দিতে শুরু করি
উঁচু কন্ঠে কথা বলি , তবুও কত শান্ত মেজাজে ঠোঁটে হাসি রেখে তুমি সব শুনতে থাকো ।

তোমার গুণের বর্ননা যেখানে শেষ সেখানেই তোমার রূপের
সৌন্দ্যর্য শুরু , তুমি রূপে গুণে মায়ায় ভরা একজন আদর্শ
প্রেমিকা । ভালো থেকো । আমার থেকো । ভালবেসে তোমার করেই রেখো ।