মরে গেলেই সবাই ভূত হয় না ,
কেউ কেউ মানুষের রূপে একটা গোটা জীবন
মানুষের মাঝে বসবাস করে কাটিয়ে দেয় ।
তাদেরকে কবর বা শশ্মানে নিয়ে যেতে হয় না ,
তাদের কাফন লাগে না ,কবর অবধি যেতে
চার জনের কাঁধ লাগে না ।
এরা একা একা নিজেকে কবর বা শশ্মানে ফেলে এসেছে
শুধু এই ভয়ংকর নিষ্ঠুর পৃথবীর হাত থেকে বাঁচতে ।
এদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে না ,
আত্মীয় স্বজন বন্ধু কেউ কাঁদে না ।
কখন এরা মরে গেছে ,কাউকে জানতেই দেয়নি
সব থেকে কাছের মানুষ ,বন্ধু ,তারাও জানতে পারেনি
গত কয়েক যুগ থেকে মৃত ।
এরা এক আজব লাশ,
হৃদয়ের স্পন্দন চলে ,চোখে দেখে ,কানে শোনে
কথা বলতে পারে , তবুও এরা বেঁচে নেই।
চলাফেরা করে , কখনও লুটিয়ে পড়ে
বাস্তবতার শক্ত মাটিতে আবার কখনও
নিজেকে বন্দী করে অন্ধকার ঘরে।
এরা বাঘ ভাল্লুকে ভয় পায় না ,
এদের ভয় শুধু মানুষকে নিয়ে ।
এরা সব কিছু ছেড়ে চলে যেতে চায় সাত আসমান দূরে
পারে না , মায়ের ঔষুধ আর বাবার শরীর খারাপের
দায় বদ্ধতা এদের কবর থেকে বারবার ফিরে
আসতে বাধ্য করে ।
এদের মধ্যে কাউকে খুব সুন্দর করে খুন করা হয়েছে
ভালোবাসার নামে ।
কাউকে আবার সমাজ কৌশলে মেরে ফেলেছে ।
খুনী গুলো জানে এদের ডেথ সার্টিফিকেট হয় না ,
এদের পোস্টমর্টেম হয় না,
কেউ বুক চিরে দেখতে পাবে না কাদের দেওয়া আঘাতে
জল জ্যান্ত একটা হাসিখুশি মানুষের হত্যা হয়েছে ।
খুনীর জীবন মুক্ত ,সুন্দর ,সুখের -আনন্দের ,
শুধু এক পৃথিবী কষ্ট নিয়ে বুক চিতিয়ে
শুয়ে থাকে এক আজব লাশ।