জীবনের অনুক্রমণিকা নিরন্তর পাল্টে যায় তাই থেমে গেলো হঠাৎ ভাবনার বাঁশি, যেখানে পৃথিবী ঘুমে সেখানে তোমার নামে শুরু করেছিলাম হাঁটা উপমার বিশাল আকাশের সিঁড়িপথে, ছত্রধর নেশার কপাট খুলে গ্রহণ করেছিলাম শব্দের রাণী করে প্রেম যৌবনের অচেনা নির্ঘুম রাত।
সেই মেঘলাল আকাশ, হিমেশ্রী ফুলের বিকেল, উড়নার নীল আঁচল উড়িয়ে উদাসী নদীর স্রোতে মিশে যাওয়া চোখের ঢেউয়ে অবিনাশী পুতঃ আহবান ; যেখানে বপন করেছিলাম স্বপ্নের প্রতিমা ফাগুন, অবিরল বিশ্বাসের ছায়াতরু মুকুল, রূপের বৈচিত্র।
যে কখনো চোখে চোখ রেখে বলে যায়নি ভালোবাসি, স্বপ্নে হেসে চলে যায় আকুলতার প্রতিশ্রুতি পিছনে ফেলে, যে কেবলই ছায়াসঙ্গী! যাঁর অদ্বয় ছায়া ধরে রেখেছি বিরহ দহনে কারিকর অনুরাগ সনির্বদ্ধ কালচক্রে। যাঁর সাথে প্রাণের সঙ্গম হয়না কখন প্রাণের। হারিয়ে ফেলা অভিমান, রৌদ্রজ্জ্বল হাসি, অবিশ্রান্ত কল্পনা ফিরিয়ে দেবে বলে এখনো কেউ অলঙ্ক্রিয়া হয়নি, কবিতার এলোমেলো শব্দের অচপল লাইন গুছিয়ে দেবে বলে সখ্যতা হয়নি অনুলিপি প্রাণের অগ্নিময় স্তুতিপাঠে।